পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

있8● বঙ্কিম-প্রসঙ্গ পিতার রাজত্বকালে সংসারাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া যান। তজ্জন্তু তিলকচন্দ্র মহাতাপচন্দ্রকে পোষ্যপুত্র গ্রহণ করিয়া রাজত্ব-রক্ষার ভার নাবালক মহাতাপচন্দ্রের জন্মদাতা গোপালবাবুর হস্তে ন্যস্ত করিয়া যান। কিছুকাল পরে “প্রতাপচাদ"-নামধারী কোনও ব্যক্তি উপস্থিত হইয়৷ বৰ্দ্ধমান রাজসম্পত্তির (claimant) উত্তরাধিকারী বলিয়া পরিচয় দেন। এই পরিচয় দিবার পর নামধারীকে কোনও মোকৰ্দমা উপস্থিত করিবার অবসর দেওয়া হইল না। নাবালক রাজের অভিভাবক গোপালবাবু বৰ্দ্ধমান এষ্টেটের বিপুল অর্থভাণ্ডার অকাতরে ও মুক্তহস্তে ব্যয় করিয়া নামধারী দায়াদ ও তাহার পক্ষীয় লোকদিগকে ব্যতিব্যস্ত ও পযুদস্ত করিয়৷ উড়াইয়া দেন। নামধারী কোথাও দাড়াইবার ভূমি পান নাই। সঞ্জীববাবু এই ঘটনাটা অবলম্বন করিয়া তাহার পুস্তিকাখানি প্রচার করেন। এই পুস্তিকাখানি সম্বন্ধে বঙ্কিমবাবু উল্লেখ করিয়াছিলেন যে, "মেজদাদা জন-প্রবাদ বা জনশ্রুতির উপর অবিচারে বিশ্বাস করিয়া তাহার পুস্তিক রচনা করিয়াছেন। আখ্যায়িকার বর্ণিত ঘটনা-পুঞ্জের ঐতিহাসিক মূল তিনি অতি অল্পই অনুসন্ধান করিয়াছিলেন। আমার খুব বাল্যকালে এই নামধারীর আখ্যান জননীর ক্রোড়ে শয়ন করিয়া উহার যুখে শুনিতাম, এবং সহানুভূতিতে কঁাদিয়া গণ্ডস্থল ভাসাইতাম।” আমি খলিলাম যে, “দায়াদের যখন বহুতর ভূম্যধিকারী সহায় থাকিতে এবং খ্যাতনামা জনসাধারণ-হিতৈষী ডেভিড হেয়ার লাহেবের স্থায় ব্যক্তিগত অভিন্নত্বের (Identity) সাক্ষী সকল