পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ૨ઉજ রীত ফল ফলিবার আশঙ্কায় সকলকে মন্ধের প্রয়োগ শিখাইতেন না। তবে হাকিম বা সাহেব বশীভূত করিবার জন্য তিনি অনেক লোককে মন্ত্রের প্রয়োগ শিখাইয়াছিলেন। একবারমাত্র তিনি কোনও হতভাগিনী রমণীকে তাহার অনঙ্গুরক্ত স্বামীকে বশীভূত করিবার জন্য মন্ত্রটর প্রয়োগ শিখাইয়াছিলেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, , সেই হতভাগিনী যেই মন্ত্রটা তীয় স্বামীর প্রতি প্রয়োগ না করিয়া তাহার অযথা অপব্যবহার করে । মন্ত্রশক্তি সম্বন্ধে আরও অনেক কথা হয় । সন্দেহ ও অবিশ্বাসে মন্ত্রশক্তির ফলোপদায়িত। যেরূপ নষ্ট হয়, আমি তাহার একটা ঘটনা বিবৃত করিলাম। ঘটনাট আমি শ্রীমৎ অচলানন্দ তীর্থ-স্বামীর প্রযুত্থাৎ শ্রবণ করি। স্বামীজীর পুর্বাশ্রম উত্তরপাড়ার সন্নিহিত কোতরং গ্রাম। সেই আশ্রম খ্যাতনাম রামকুমার বাবাজীর। বাবাজী অবশু তাহার পদৰী নহে। তবে বাবাজী’ শব্দ লোকে তাহার পদবী"-রূপে প্রয়োগ করিত। স্বামীজী যখন সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করিতেন, তখন তাহার পিতৃদেবের নিকট বৃশ্চিক-দংশন আরোগ্যের একটা মন্ত্র পান। সেই মন্ত্ৰটী পাইবার জন্ত স্বামীজী পূৰ্ব্ব হইতে বড়ই আগ্রহাম্বিত ছিলেন। কিন্তু পিতৃদেবের নিকট পে আগ্রহ কখনও প্রকাশ করিতে সাহসী হন নাই। র্তাহার পিতৃদেব মম্বোচ্চারণান্তে দষ্ট স্থানে ৭ ৰু করিয়া তিনবার খুৎকার করিতেন। সেই অব্যর্থ মন্ত্রশক্তির বলে, যাহারা জাশিত, সকলেই সকল সময় আরোগ্য লাভ করিত। দৈবযোগে একদিন স্বামী so