পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র চক্ষে পড়িলে তাহার অন্তরে বড়ই ঘৃণার উদয় হইত। একদিন তিনি কাটা চামচ হস্তে একটী কৈ মাছ ছাড়াইবার চেষ্টা করিয়া পুনঃপুনঃ বিফলপ্রযত্ব হইতেছিলেন ; তাহার সহধৰ্ম্মিণী তাহার পার্থে দাড়াইয়া রঙ্গ দেখিতেছিলেন ! তিনি বলিলেন, “কি বিড়ম্বনা! উপায় থাকিতে কি কৰ্ম্মভোগ ।” এই কথায় তাহার চৈতন্যোদয় হইল। এই সময়ের কিছু পূৰ্ব্ব হইতে সময়ের স্রোত বিপরীত দিকে ফিরিবার উপক্রম হইতেছিল। এই স্রোতের বশবৰ্ত্তী হইয় তাহারও সাহেবিয়ানা তাহাকে ছাড়িয়া প্রস্থান করিল। এ দেশে যে এ স্রোত এখন ক্রমশঃ মন্দীভূত হইয়া পড়িতেছে, ইহাতে তিনি যারপরনাই সন্তুষ্ট ছিলেন। বঙ্কিম বাবুর পিতৃদেব পুজনীয় যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের এক জন সন্ন্যাসী গুরু বা উপদেষ্ট ছিলেন। তিনি একবার তাহার পিতার সঙ্গে দেখা করিয়া উহার মৃত্যুঘটনার ঠিক সুতি দিন পূৰ্ব্বে আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হইবার অঙ্গীকার করিয়া যান। এই অঙ্গীকারমত যাদববাবুর মৃত্যুর ঠিক সাত দিন পূৰ্ব্বে সেই সন্ন্যাসী ঠাকুর আসিয়া যাদব বাবুর সহিত দেখা করিয়াছিলেন । যাদব বাবুর কোনও পীড়ার সময় এই সন্ন্যাসীর সঙ্গে তাহার প্রথম আলাপ হয়। এই সন্ন্যাসী সম্বন্ধে বমি বাৰু আরও অনেক কথা বলিয়াছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে তাহা ভুলিয়া গিয়াছি। चैकान्नैौमांधं प्रख्।