পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমবাবু २ ११ উপম ব্যবহার করিলে বলা যাইতে পারে যে, ঘষা কাচের ভিতর দিয়া আলে| যেমন অধিকতৰ উজ্জ্বল দেখায়, তেমনই র্তাহার রংও সেই কোটের আবরণে অধিকতর উজ্জ্বল দেখাইতেছিল। গোফ ও কেশ ঘন ও মিসমিসে কাল । তাহার এই সময়ের ফটাে আমাদের আছে। বঙ্কিমবাবর প্রণীত "দীনবন্ধু-জীবনী’র শেষ সংস্করণে ঐ ছবির তাফ টোন প্রতিকৃতি দেওয়া হইয়াছে। “মানসী’তে বোধ হয় এই ছবি প্রথম প্রকাশিত হয়। পাঠ্যাবস্থায় যখন বঙ্কিমবাবু ও আমার পিতৃদেব ঈশ্বর গুপ্তের কাব্যশিষ্য ছিলেন, সেই সময় হইতে র্তাহাদের পত্রে আলাপ হয়। পরে তাহাদের যেরূপ বন্ধুত্ব হইয়াছিল তাহা বঙ্গীয় পাঠকগণের অবিদিত নহে। বঙ্কিমবাবুর কনিষ্ঠ শ্রদ্ধাম্পদ পূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মহাশয়ের নিকট শুনিয়াছ, যখন র্তাহার কেবল জুই জনে বসিয়া থাকিতেন, তপন অনেক সময় নীরবে কাটিয়া যাইত। দুই জনে দুইটি গুড়গুড়ি লইয়া ধূম পান করিতেন, এবং পরস্পরের মুখের দিকে চাহিয়! থাকিতেন। এইরূপ ভাবে বহুক্ষণও কাটিয়া যাইত। শুনিয়াছি, কারলাইল ও এমারসন উভয়ের ঘেদিন প্রথম সাক্ষাৎ হয়, দুই জনে দুইটি চুরুটের ধূম বাহির করিয়া নীরবে বসিয়াছিলেন। বোধ হয়, তাহাদের আত্মায় আত্মায় কথা হুইতেছিল, বাহেন্দ্রিয়ে তাহ প্রকাশ পায় নাই। বঙ্গসাহিত্যের এই ছই মনীষী বন্ধুরও সেইরূপ নীরব কথোপকথন হইত !