পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ - "שר כ আমার পিতৃদেবের মৃত্যুর পরও বঙ্কিমবাবু এই নীরবতাই অবলম্বন করিয়াছিলেন । তখন সমগ্র বঙ্গদেশ বিচলিত হইয়াছিল, কিন্তু বঙ্কিমবাবু স্থির ছিলেন। “বঙ্গদর্শনে” তাহার কোনও উল্লেখ করেন নাই। অনেকেই অতিশয় বিস্মিত হইয়াছিলেন, এবং সেই জন্তই তিনি “বঙ্গদর্শনে”র বিদায়-গ্রহণে এইরূপ কৈফিয়ৎ দিয়াছিলেন,— “আমার আর এক জন সহায় ছিলেন, সাহিত্যে আমাৰ সহায়, সংসারে আমার সুখদুঃখের ভাগী, তাহার নাম উল্লেখ করিব মনে করিয়াও উল্লেখ করিতেছি না । এই ‘বঙ্গদর্শনে’ব বয়ঃক্রম অধিক হইতে না হইতেই দীনবন্ধু আমাকে পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছেন । র্তাহার জন্ত তখন বঙ্গসমাজ রোদন করিতেছিল, কিন্তু এই ‘বঙ্গদর্শনে আমি তাহার নামেল্লেখ করি নাই ; কেন, তাহ কেহ বুঝে না । আমার যে দুঃখ, কে তাহার ভাগী হইবে। কাহার কাছে দীনবন্ধুর জন্ত কাদিলে প্রাণ জুড়াইবে। অন্তের কাছে দীনবন্ধু স্থলেখক, আমার কাছে প্রাণভুল্য বন্ধু। আমার সঙ্গে সে শোকে পাঠকের সহৃদয়ত হইতে পারে না বলিয়া, তখন কিছু বলি নাই, এখনও কিছু বলিলাম না।” এরূপ অতলস্পর্শী সহৃদয়তার দৃষ্টান্ত আর আছে কি ! ষ্ঠাহার আর এক জন প্রাণতুল্য বন্ধু ছিলেন। ইনি “পণ্ডিতএণী কাব্যামোদী” vজগদীশনাথ রায়। বঙ্কিমবাবু উভয়কে সহোদরের স্তার ভালবাসিতেন। একদিন তাহার কলিকাতার