পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের পিতৃকাহিনী Say? কোন শুচিতা-বিবর্জিত আচরণের জন্ত স্বীয় পিতা কর্তৃক তিরস্কৃত চয়েন। অভিমানে ও ক্ষোভে তিনি গৃহ হইতে বাহির হুইয়া যাজপুরে স্বীয় অগ্রজের নিকট গমন করেন। তাহার অগ্রজ তথায় নিমকী-সংক্রান্ত কৰ্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি দূরপ্রবাসে ভ্রাতাকে পাষ্টয় যারপরনাই আনন্দিত হইলেন এবং দুই সহোদরে সন্তোষের সহিত কালঘাপন করিতে লাগিলেন । কিন্তু অবিচ্ছিন্ন সুখ মনুষ্যের ভাগ্যে ঘটে না । কিছুদিন অতিবাহিত হইল , তারপর কনিষ্ঠ সহোদর যাদবচন্দ্র বিষম জরে আক্রান্ত হইলেন, এবং সেই সঙ্গে তাঙ্গর কর্ণমূল স্ফীত হইল। ব্যাধি ক্রমেই ভীষণতর হুইতে লাগিল, এবং সেই রোগেই তিনি অকালে কালগ্রাসে পতিত হইলেন। তৎকালে নৈহাটী অঞ্চলের প্রথিতনামা চিকিৎসক বৈদ্যনাথ কবিরাজ মহাশয় বাজপুরে অবস্থিতি করিতেছিলেন, এবং তিনিই যাদবচন্দ্রের চিকিৎসা করিয়াছিলেন । কনিষ্ঠের মৃত্যুতে জ্যেষ্ঠভ্রাতা বড়ই কাতর হইলেন, কিন্তু শোকশেল বক্ষে বহন করিয়াও কৰ্ত্তব্যপালনে পরাসুখ হইলেন না । যথাসময়ে যাদবচন্দ্রের শবদেহ বৈতরণীর কূলে আনীত হইল। শবের সৎকারের জন্ত চিত। সজ্জিত হইতে লাগিল । যে সকল বন্ধু শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন, সকলেই বিষণ্ণবদনে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আয়োজন করিতেছিলেন। জ্যেষ্ঠভ্রাত ধূলাপুষ্ঠিত হইয়া ক্ৰন্দন করিতেছিলেন। শবদেহ শুভ্র চাদরে আবৃত ছিল । এমন সময় সেই শ্মশানক্ষেত্রে এক জন মহাপুরুষের আবির্ভাব হইল। র্তাহাকে দেখিয়া সকলেই স্তম্ভিত হইলেন। సె