পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিমচন্দ্রের পিতৃকাহিনী। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসগুলি পাঠ করিলে একটা বিষয় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তাহার প্রায় সকল পুস্তকেই সাধু সন্ন্যাসী মহাপুরুষের প্রভাবের পরিচয় পাওয়া যায় “দুর্গেশনন্দিনী’তে অভিরাম স্বামী, “মৃণালিনী’তে মাধবাচাৰ্য্য, “কপালকুগুলা" কাপালিক, “বিষবৃক্ষে’ ব্রহ্মচারী,“চন্দ্রশেখরে” রামানন্দ স্বামী, “আনন্দমঠে” চিকিৎসক, “দেবী চৌধুরাণী"তে ভবানী পাঠক, “সীতারামে”গঙ্গাধর স্বামী প্রভৃতির ক্ষমতার নিদর্শন আমরা দেখিয়াছি। “রজনী’তে অন্ধ রজনীর সাধু কর্তৃক অন্ধত্বমোচন হইয়ছিল, এবং “আনন্দ-মঠে” সৰ্পদংশনে মৃত বলিয়া স্থিরীকৃত কল্যাণীর শিশু সন্তানের পুনর্জীবনলাভ হইয়াছিল। মনঃক্ষেত্রেও ইহার সুফল দেখিতে পাওয়া যায় ;-মহাপুরুষের চিকিৎসা শৈবলিনীর চিত্তে চিরপ্রবাহিত নদী উজানবাহিনী হইয়াছিল। . এক ব্যক্তির রচনায় মহাপুরুষগণের মাহায্যের বিবিধ বর্ণন দেখিয়া চমৎকৃত হইতে হয়, এবং স্বতঃই মনে এই প্রশ্নের উদয় হয়—বঙ্কিমচন্দ্র কেন এইরূপ করিয়াছিলেন ? তাছার স্বীয় পরিবারমধ্যে সাধুপুরুষের যে অলৌকিক নিদর্শন ছিল, তাহাই ইহার কারণ-বলিয়া অনুভূত হয়। সেই অলৌকিক ঘটনা কিরূপে ঘটিয়াছিল, তাহাই বিবৃত করা এই প্রবন্ধের প্রধান উদ্দেশ্য ; নৈহাটী অঞ্চলে বঙ্কিমচন্ত্রের পূর্বপুরুষগণ ধৰ্ম্মপ্রবণতা ও শিষ্টাচারের জন্তু বিশেষ সন্মানিত ছিলেন। একদা তাহার পিতা