পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের পিতৃকাহিনী ఇసారి গুনদর্শনের বাসনা ব্যক্ত করিলে, মহাপুরুষ বলিয়াছিলেন, “ভবিস্বতে তিনবার আমার দর্শন পাইবে।” কোথায়, কিংবা কবে, তাহা তিনি প্রকাশ করেন নাই; তলে বলিয়াছিলেন, “শেষ দর্শন তোমার মৃত্যুর সময় হইবে।” মহাপুরুষ যাদবচন্দ্রকে আরও কয়েকটি ভবিষ্যৎবাণী কহিয়াছিলেন, তাহা এক্ষণে উল্লেখ করিতেছি । তিনি বলিয়াছিলেন যে, তাহাকে সন্মানস্থচক কাৰ্য্য করিতে হইবে। তাহার চারিটি পুত্রসস্তান হইবে সকলেই ঠাইরে দ্যায় সম্মানস্থচক রাজকাৰ্য্যে নিযুক্ত হইবেন ; এবং র্তাহাদের মধ্যে এক জন কর্তৃক তাঙ্গর বংশ চিরকালের নিমিত্ত গৌরবান্বিত হইবে । পরিশেষে তিনি প্রপৌত্রের মুখাবলোকন করির মানবলীলা সংবরণ করিবেন। এই বলিয়া মহাপুরুষ অন্তষ্ঠিত হইলেন। যাদবচন্দ্র বৈতরণীর উপকূল ত্যাগ কবিয়া জাহ্নবীর উপকূলে আগমন করিলেন। যথাকালে যাদবচন্দ্রের বিবাহ সম্পন্ন হইল, এবং তিনি কাৰ্য্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিয়া ডেপুটী কালেক্টারের পদে নিযুক্ত হইলেন। যখন তিনি ডেপুটপদে নিযুক্ত, সেই সময়ে তাহার গুরুদেব তাঙ্গদের দুইবার দর্শন দেন। প্রথম, মেদিনীপুরে ; এবং দ্বিতীয়বার বদ্ধমানে। দ্বিতীয়বার সাক্ষাতের পর যাদবচন্দ্র কাৰ্য হইতে অবসর লইয়৷ পেনসন ভোগ করেন। কালে তাহার চারিটি পুত্রসন্তান হয় ;–প্রথম, শুামাচরণ ; দ্বিতীয়, সঞ্জীবচন্দ্ৰ ; ঠতী, বঙ্কিমচন্দ্র ; এবং কনিষ্ঠ, পূর্ণচন্দ্র। ইহারা সকলেই ডেপুটী সাজিষ্ট্রেটের পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। পুত্ৰগণের কৰ্ম্ম সম্বন্ধে