পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૪.8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ মহাপুরুষের ভবিষ্যৎবাণী যে সত্যে পরিণত হইয়াছিল, তাগ সম্পূর্ণরূপে প্রতিপন্ন হইল। এক্ষণে র্তাহার বংশ-গৌরবের কথা উল্লেখ করিব। মহাপুরুষ বলিয়াছিলেন যে, তাহার এক জন পুত্র কর্তৃক তাহার বংশ চিরস্মরণীয় হইবে। আজ “বন্দে মাতরম" মন্ত্রে মুখরিত ভারত ভূমিতে ঐ ভবিষ্যৎবাণীর সার্থকতা সপ্রমাণ করিবার কোনও প্রয়োজন নাই। সকলেই স্বীকার করিবেন, সাহিত্যসম্রাট ও “ বন্দে মাতারম্” মঙ্গমন্ত্রের ঋষি বঙ্কিম চন্ত্রে ংশ যাবচ্চন্দ্রদিবাকর আর্য্যাবৰ্ত্তে স্মরণীয় থাকিলে । যাদবচন্দ্র পেন্সন গ্রহণ করিয়া কাঠালপাড়ার ভবনে বা করিতে লাগিলেন । কয়েকবৎসর পরে তাহার সহধৰ্ম্মিণ স্বর্গারোহণ করিলেন। তিনি সাক্ষাৎ লক্ষ্মীস্বরূপিণী ছিলেন, এব গ্রামস্থ সকলেই তাহাকে পূজা করিতেন বলিলেও অত্যুৰি হয় না । পত্নীর পরলোকগমনের পর যাদবচন্দ্র একবার তীর্থ-পৰ্যটনে গমন করেন। তিনি পরম বৈষ্ণব ছিলেন। তাহদের মন্দিরে রাধাবল্লভের মূৰ্ত্তি বিরাজিত। প্রতি বৎসর মহাসমারোহে রাধ বল্লভের রথোৎসব হুইত, এবং সেই উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণের যে সক বেশ প্রদর্শিত হইত, তাহাতে সকলেই মুগ্ধ হইতেন। রাধী বল্লভের উপাসক বাদচন্দ্রের জয়পুর ও বৃন্দাবন বড়ই আদরে তীর্থ হইয়াছিল, কিন্তু এই উপলক্ষে তিনি গোবিন্দজীর মূর্তাি দর্শনান্তে এক অভিনব দৃশু অবলোকন করিয়াছিলেন। তিনি দেখিয়াছিলেন যে, রাধাবল্লভ তাহার নিকট আবিভূত হই