পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম-প্রসঙ্গ । woe & কেশবচন্দ্রের নামটি উঠাইয়া দিয়া তাহার ভক্তের হৃদয়ে শান্তিলাভ করিয়াছেন । হায় রে দেশ ! মোগলকুলতিলক আকবর সাহকে আমরা সম্রাটশিরোমণি বলিয়া জানি। বাল্যকাল হইতে শিক্ষাস্থত্রে আকবরের বিবিধগুণমণ্ডিত দিল্লীর মোগল-রাজদরবারকে সন্মানের চক্ষে দেখিয়া পাকি। প্রায় পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে জেনারেল এসেশ্বিলীর হলে রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ-শ্রবণের প্রলোভন-তাড়িত জনমণ্ডলীর মজলিসে বঙ্কিমচন্দ্র সভাপতি। সে সময়ে বঙ্কিমবাবু সবেমাত্র রাজকাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছেন। সভা সমিতিতে সীতাম্বাত তাহার বড় বেশী অভ্যাস ছিল না। বিশেষতঃ সেকালের রবীন্দ্র-সন্মিলন যে কি বিরাট ব্যাপারে পরিণত হইত, তাঙ্গ তাহার জান ছিল না । যাহা হউক দারুণ গ্রীষ্মে কণ্ঠগতপ্রাণ সেই বিরাট জনমণ্ডলীর সম্মুখে রবীন্দ্রের প্রবন্ধপাঠ শেষ হইলে, বঙ্কিমচন্দ্র সভাপতির কার্য্যসম্পাদনে অগ্রসর তইলেন। রবীন্দ্রনাথের সে প্রবন্ধের শিরোনাম স্মরণ নাই, তবে তাহাতে প্রসঙ্গ ক্রমে মোগল-শাসনের উল্লেখ ছিল, এবং আকবরের প্রসঙ্গও ছিল। সভাপতি বঙ্কিমচন্দ্রের মন্তব্যে সেদিন একটা বৃহৎ মিথ্যা ধরা পড়িল, একটা দীর্ঘকালব্যাপী লুক্কায়িত সত্যকথা প্রকাশ পাইল। তিনি সেদিন বলিয়াছিলেন, আকবরের নামে দেশের লোক এত নাচে কেন ? তাহার দ্বারা হিন্দুজাতির রক্ষা ও স্থিতি বিষয়ে ইষ্টাপেক্ষা অনিষ্ট অধিক হইয়াছে। তাহা ছাড়িয়া দিলেও