পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

voes বঙ্কিমচন্দ্র মালা, তিলক, ফোট ও শিখা রাখার ৰে ধৰ্ম্ম ট্যাকে, আর ঐগুলির অভাবে যে ধৰ্ম্ম লোপ পায়, সে ধৰ্ম্মের, জন্ত দেশ এখন আর ব্যস্ত নহে । তর্কচূড়ামণি মহাশয় ব্রাহ্মণপণ্ডিত, তিনি এখনও বুঝিতে পারেন নাই যে, নান স্বত্রে প্রাপ্ত নূতন শিক্ষার ফলে দেশ এখন উহা অপেক্ষ উচ্চ ধৰ্ম্ম চায় । কি হইলে এদেশের সমাজধৰ্ম্ম এখন সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর হয়, সে জ্ঞানই এদের নাই, তাই যা খুলী তাই বলিয়া লোকের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত ।” এখানে এ কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যাইতে পারে যে, স্বৰ্গীয় বিবেকানন্দও বঙ্কিমচন্দ্রের সুরে সুর বাধিয়া লোকের নাচানাচির মাথায় মুগুর মারিয়াছিলেন । বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীপনে কিরূপ ধৰ্ম্মেল সমাদর হওয়া বাঞ্ছনীয় তাহার জীবনব্যাপী সাহিত্য-ভাণ্ডারেই তাঙ্গ পাওয়া বায়। অতি স্পষ্টভাবেই তিনি “প্রচারে” সে কথার আলোচনা করিয়াছিলেন। গুরু-শিষ্যের প্রশ্নোত্তরচ্ছলে প্রকৃত ব্রাহ্মণ্য গুণের আলোচনা করিতে গিয়া বঙ্কিমচন্দ্র) তাহার সময়ে সমগ্র বঙ্গদেশে ফুটমাত্র ব্রাহ্মণগুণসম্পন্ন ব্যক্তি খুজিয়া পাইয়াছিলেন । কুলমৰ্য্যাদাসম্পন্ন }:উচ্চ-ব্রাহ্মণ-কুলসস্তুত বঙ্কিমচন্দ্র, বিদ্যাসাগর মহাশয়কে এবং বৈদ্যকুলোদ্ভব কেশব চন্দ্র সেন মহাশয়কেই প্রকৃত ব্রাহ্মণ বলিয়া অভিহিত করিয়াছিলেন। ইহাতেই বুঝা যায়, তাহার সমাজ-ধৰ্ম্মের আদর্শ কত উচ্চগ্রামে উঠিয়াছিল। অধুনা গ্রন্থাকারে মুদ্রিত “ধৰ্ম্মতত্ত্বে”