পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম-প্রসঙ্গ ৩২৫ দেব হইবার রীতিমত বন্দোবস্ত ও সরঞ্জামও ছিলনা ; ধনী ছিলেন না,—অভাবও ছিল না ; সৌভাগ্যক্রমে স্বল্পে সন্তুষ্ট ও তাহার গুরু বিদ্যাসাগরের মত “স্বাতন্ত্রো শে’কুল কাটা ছিলেন । যজমান প্রতিপালন করিয়া মঠ গড়িয়া ভক্তিশ্রদ্ধার ব্যাপারে’র জন্ত আড়তও করেন নাই। র্তাহার নিমতলার বাড়ীর নীচের ভাঙ্গাঘরে দুই চারি জন যজমানের সমাগম হইত। তিনি সাহিত্যে মস্গুল হইয়া থাকিতেন। তাহার কাব্যরসের যজমানের মধ্যে সে সময় প্রধান ছিলেন, সাহিত্য-রসিক প্রিয়নাথ সেন ও কবিবক অক্ষয়কুমার বড়াল । চক্রবর্তী মহাশয় তক্তপোষ বাজাইতেন । সে তক্তপোষে একথান। মাদুর ও ছিল না। আর নিজের কথাবার্তায়, আচারে, ব্যবহারে, মন্তব্যে “ভোক্গে সে এ বসুমতী যার সুখী তার” এই উক্তির যথার্থ প্রতিপন্ন করিতেন। বেহারী বাবু বঙ্কিম বাবুর প্রতি বড় প্রসন্ন ছিলেন না। আমি মনে করিয়াছিলাম, বেঙ্গারী বাবুর কাছে যেমন বঙ্কিমবাবুর কথা শুনি বঙ্কিমবাবুর মুখেও হয়ত তত উচ্চগ্রামে না হউক—কিছু শুনিব কিন্তু বঙ্কিমবাবু বিহারীবাবুর দুই একটা গল্প শুনিয়া বলিলেন, “জীবনেও Poet ! ইহাকেই বলে কবি । খুব সদানন্দ লোক ত ।” আর একদিন সকালে বঙ্কিমবাবুর বাড়ীতে গিয়াছিলাম ; সে দিন বঙ্কিমবাবু দ্বিতলে, উত্তরের একটি ঘরে বসিয়াছিলেন। একটা সেক্রেটেরিয়েট টেবিলের সম্মুখে উত্তরদিকে একখানি চেয়ারে বসিয়াছিলেন। টেবিলের অপর পাশ্বে দুই তিনখানি