পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ বঙ্কিমচন্দ্র চেয়ার, পশ্চিমে দুষ্টট আলমারী। উত্তর ও দক্ষিণের জানালা উন্মুক্ত। বঙ্কিমবাবু তামাক খাইতেছিলেন। একটা ছোট গড়গড়, তাহাতে দীর্ঘ কাঠের নল। দেখিলাম, সচরাচর লোকে নলের যে দিকটা গুড়গুড়িতে লাগায়, বঙ্কিমবাবু সেই দিকটাই তামাক খাইতেছেন। অপর দিকটা গড়গড়ার রন্ধ মুখে সন্নিবিষ্ট । আমি মনে করিলাম, বুঝি ভুলিয়া উল্টাদিকটা মুখে দিয়াছেন। কিন্তু পরে দেখিলাম, তাহা নয়, নলটা খুলিয়া টেবিলে রাখিলেন। আবার মুখে দিবার সময় দেখিয়া উল্টাদিকটাই মুখে দিলেন । বঙ্কিমবাবুয় টেবিলে চায়ের পেয়াল ছিল। বঙ্কিমবাবু পেয়ালাট তুলিয়া লইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন,—“চা থাবে ?” আমি বলিলাম, থাকৃ,--আপনার চা ত হইয়া গিয়াছে।—” বঙ্কিমবাবু বলিলেন, “খাও ত?—মুরলী!" - মুরলীধর হাজির হইল। বঙ্কিম বাবু আমার জন্য চা আনিতে বলিলেন । মুরলী, বঙ্কিম বাবুর সেই খানসাম — প্রথম দর্শনেই যাহার সহিত আমার দ্বন্দ্ব বাধিয়াছিল। পরে তাহার সহিত আমার আপোষ হইয়া গিয়ছিল; মুরলীর সঙ্গে আমার একটু ‘প্রেমও হইয়াছিল। বঙ্কিমবাবুর মৃত্যুর পর সে ভবানীপুরের উকিল হেমেন্দ্র নাথ মিত্র মহাশয়ের বাড়ীতে ছিল। মুরলী আর ইহ লোকে নাই,–বোধ হয় আবার বঙ্কিম বাবুর তামাক সাজিতেছে, যদি নরক হইতে স্বৰ্গ পৰ্য্যন্ত টুমি হইয়া থাকে, এবং যমদূতকে সাধিয়া ছুটী পাই,