পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e 'నీ: tr বাঙ্কমচন্দ্র বঙ্কিমবাবু।–“ও কাজের কথা নয়। পরিশ্রমকে ভয় করিও ন। এক খুব লিখিতে লিখিতে লেখা যায়। আর এক পরের লেখা কাটিয়া নিজের লেখা পাকে তা জান ?” আমি।–“ আমরা পারিব কেন ?” বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “তোমরাও কর । আমি এক রাজকৃষ্ণ ছাড়া কারও লেখা ভাল করে’ না দেখে প্রেসে দিই নি । রাজকৃষ্ণ বড় স্বন্দর বাঙ্গলা লিখতেন। দিব্যি ঝরঝরে বাঙ্গলা — জানতুম্‌ ৰ্তার লেখা প্রফে একটু কেটে কুটে দিলেই যথেষ্ট হবে।” “শকুন্তলা” বঙ্গবিশ্রুত সমালোচক ও মনীষী শ্রদ্ধাস্পদ চন্দ্রনাথ বসুর “শকুন্তলা-তত্ত্ব।” বোধ হয়, না বলিলেও চলিত। কিন্তু এখনকার লেখকের ও পাঠকপাঠিকার প্রাচীন গ্রন্থকারের কোনও গ্রন্থই ত প্রায় পড়েন না। এই জন্য এখনকার সাহিত্যের সঙ্গে তথনকার –বিশ পচিশ বৎসরেব সাহিত্যেরও যেন কোনও প্রাণের যোগ নাই। গত পুরুষের স্থপতিরা যে বনিয়াদ করিয়াছিলেন, তাহ পড়িয়া আছে ; তাঙ্গার উপর শৈবাল ও আগাছা জন্মিতেছে। এখন যাহারা গড়িতেছেন, তাহাদের অনেকেই বালীর উপর খেলা-ঘরের পত্তন করিতেছেন। বঙ্কিম বাবুর রাজকৃষ্ণ স্বনামধন্ত, বাঙ্গালার প্রথম ইতিহাসকার । শ্ৰীযুত রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায়। বঙ্কিমবাবু তাহাকে বড় ভাল বাসিতেন। রাজকৃষ্ণবাবুর ধীশক্তির গবেষণার, রচনার, মধুৰ পবিত্র চরিত্রের প্রশংসা তাঙ্গরি মুখে অনেকবার শুনিয়াছি, দুষ্ট একবার সেই প্রতিভা-দীপ্ত উজ্জল নয়নের কোণে দুই এক বিন্দু