পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিম-প্রসঙ্গ ৩২৭ তাহা হইলে বঙ্কিমবাবুর সঙ্গে দেখা করিতে যাইবার ইচ্ছা আছে। তখন মুরলী দ্বার ছাড়িয়া দিবে, হাসিমুখে আসুন’ বলিবে, এবং লুকাইয়া তামাক সাজিয়া দিবে সে বিষয়ে আমার সন্দেহ নাই। কথায় কথায় ভাষার কথা উঠিল। বঙ্কিম বাবু বলিলেন, “তোমরা কি ভয়ে লেখকদের লেখা কাটো না ? আমি ত বঙ্গদর্শনে’র অনেক প্রবন্ধ নিজে আবার লিখিয়া দিয়েছি বলিলেও চলে। আমরা যাহা লিখিতাম তাহাই সুন্দর করিয়া লিখিবার চেষ্টা করিতাম। এখন লেখকেরা এ দিকে বড় উদাসীন। তোমাদেৱ ‘সাহিত্যেও দেখি,—অনেক প্রবন্ধ দেখিয় মনে হয়, একটু অদল বদল করিয়৷ কাটিয়া ছাটিয়া দিলে বেশ হয় । কেন কর না ? লেখকেরা কি রাগ করেন ?” আমি বলিলাম, “আমরা পারি না ; জানি না। আপনা আপনির লেখা দেখিয়াও দি । তাছার পরও ঐরকম থাৰিয়া যায়। সকলের লেখা কাটিতে সাহস হয় না।” বঙ্কিমবাবু।–“তাহা হইলে কেমন করিয়া কাজ চলিবে ? এই জন্তই বঙ্গদর্শনের আমোলে আমাকে বড় খাটিতে হইত। আমি খুব ভাল করিয়া রিভাইজ না করিয়া কাহারও কাপি প্রেদে দি তাম না। চন্দ্রনাথের শকুন্তলা দেখেছ ত , চন্দ্র একেবারে বাঙ্গালা অক্ষরে ইরাজী লিখেছলেন।—খুব খাটতে হয়েছিল। আমাদের সময়ে এজন্ত কেউ ত রাগ করতেন না— ক্তবু এখনও শকুন্তলায় ইংরেজী গন্ধ আছে।” আমি বলিলাম, “আপনাদের আলাদা কথা।”