পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«08 о বঙ্কিমচন্দ্র দরিদ্র নলিনী ও সারদকে বলিতে পারিতেন,–বোধ হয় মনে মনে বলিতেন,— “তুমি লক্ষ্মী সরস্বতী, আমি ব্ৰহ্মাণ্ডের পতি, ভোগ গে এ বসুমতী, যার খুসা তার ” নলিনী “সাহিত্যে” অনেকগুলি সুন্দর গল্প লিখিয়াছিলেন । আজকাল মোপাস। ভাজা, মোপাসা চচ্চড়ি, মোপাসা ষ্টেচ কা, মোপাসার ছ্যাচড়ার ছড়াছড়ি হুইয়াছে ! কিন্তু নলিনী প্রথমে বাঙ্গালীকে মোপাস রে গল্পের অস্বাদ দিয়াছিলেন । আমি কাহাকে ও কিছু না বলিয়া প্রবন্ধটি লষ্টয়া বঙ্কিমবাবুর বাড়ীতে যাত্র। করিলাম । ইহার পূৰ্ব্বে দুই চারিবার বঙ্কিমবাবুর পারামর্শ পাইয়া উপকৃত ও চরিতার্থ হইয়াছিলাম। বঙ্কিমবাবু বলিলেন,—“আজ বাগিয়া যাও। কাল কি পরশু আসিও ।” দুই দিন পরে অপরঙ্গে বঙ্কিমবাবুর বাড়াতে উপস্থিত হইলাম। দক্ষিণের বৈঠখানায় জানালায় দাড়াইয়। বঙ্কিমবাবু কাহার সহিত কথা কঠিতেছিলেন। আমি গৃহে প্রবেশ করিলাম ; বঙ্কিমবাবু ফিরিয়ু দেখিলেন, বলিলেন, “বসে ।” তাহার পর আবার দক্ষিণমুখে হইয়া হাসিতে ভাসিতে কথা কহিতে লাগিলেন। দেখিলাম, পাশ্ববৰ্ত্তা বাড়ীর ঢাকা বারান্দায় একটি নয় দশ বৎসরের মেয়ে—যেন শিশিরয়াত ক্ষুদ্র যুঁই। মেয়েটি হাসিতেছে, বঙ্কিমবাবু হাসিতেছেন। ক্ষুদ্র শিশুর সহিত শিশু হইয়া বঙ্কিমবাবু থেলা