পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ○○み y করিলেন, প্রবন্ধটির শ্লেন বিদ্ধপ খুব smart হয় নাই। কিন্তু এক জন—হায় । তিনি আর ইহলোকে নাই—স্বৰ্গীয় নলিনীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলিলেন, “রচনা বেশ হইয়াছে। তুমি appreciate করিতে পারিতেছ না ।” নলিনীর মতে আমার শ্রদ্ধা ছিল। অমন স্নেহময় প্রেমময় বন্ধু আর পাইব না। অমন মুখে সুখী, দুঃখে দুঃখী, ব্যথার ব্যর্থী, অভিন্নহৃদয় বন্ধু আমার ভাগ্যে আর ঘটে নাই। সাহিত্যই তাহার জীবনের সম্বল ছিল। কাবা ও কবিতা ও কলাসেন্দির্য্যে নলিনী মগ্ন হুইয়া থাকত। সংসারের দারিদ্র্য, দুঃখ, আবিলতা, কঠোরতা তাঙ্গাকে স্পর্শ করিতে পারিত না । নলিনীকে আমরা ‘কণি' বলিয়া উপচাপ করিতাম । নলিনী টুর্গেনেফ, টলষ্টয়, ছায়েন প্রভৃতির নিষ্ঠাবান ভক্ত ছিল। চৈতন্ত্য-লাইব্রেরীতে সে যখন এই সকল গ্রন্থকারের কেতাবের আমদানী করে, তখন অনেকের পক্ষে সে সকল প্রহেলিকা ছিল । শাস্ত, নম, ধীর, সারস্বত, সংসারের কুটিল চক্রে অনভিজ্ঞ নলিনী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কৈশোরের সরলতা অক্ষুণ্ণ রাখিতে পারিয়াছিল । “দারিদ্রোর মৃদু গৰ্ব্বে চরিত্র মুনীর ” নলিনীর পক্ষে অস্বর্থ বলিয়া মনে হইত। নলিনীর জীবন বলিত— “যাও লক্ষ্মী অলকায়, যাও লক্ষ্মী অমরায়, এস না এ যোগি-জন তপোবন-স্থলে !"