পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)も বঙ্কিম-প্রসঙ্গ মধ্যে একটী ঋজু দীর্ঘকায় উজ্জ্বলকৌতুকপ্রফুল্লমুখ গুম্ফধারী প্রৌঢ় পুরুষ চাপকানপরিহিত বক্ষের উপর দুই হস্ত আবদ্ধ করিয়া দাড়াইয় ছিলেন। দেখিবামাত্রই যেন তাহাকে সকলের হইতে স্বতন্ত্র এবং আত্মসমাহিত বলিয়া বোধ হইল। আর সকলে জনতার অংশ, কেবল তিনি যেন একাকী একজন। সেদিন আর কাহারও পরিচয় জানিবার জন্য আমার কোনরূপ প্রয়াস জন্মে নাই, কিন্তু তাহাকে দেখিয়া তৎক্ষণাৎ আমি এবং আমার একটী আত্মীয় সঙ্গী একসঙ্গেই কৌতুহলী হইয়া উঠিলাম। সন্ধান লইয়া জানিলাম তিনিই আমাদের বহুদিনের অভিলষিতদর্শন লোকবিশ্রত বঙ্কিমবাবু। মনে আছে প্রথম দর্শনেই তাহার মুখত্রতে প্রতিভার প্রখরতা এবং বলিষ্ঠত এবং সৰ্ব্বলোক হইতে র্তাহার একটা সুদূর স্বাতন্ত্র্যভাব আমার মনে অঙ্কিত হইয়া গিয়াছিল। তাহার পর অনেকবার তাহার সাক্ষাৎলাভ করিয়াছি, তাহার নিকট অনেক উৎসাহ এবং উপদেশ প্রাপ্ত • হইয়াছি, এবং তাহার মুখশ্ৰী স্নেহের কোমলহাসে অত্যন্ত কমনীয় হইতে দেখিয়াছি, কিন্তু প্রথম দর্শনে সেই যে র্তাহার মুখে উদ্যত খঙ্গের ন্যায় একটা উজ্জ্বল সুতীক্ষ প্রবলত দেখিতে পাইয়াছিলাম তাহা আজ পর্য্যন্ত বিস্তৃত হই নাই। 阁 সেই উৎসব উপলক্ষে একটা ঘরে একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত দেশানুরাগমূলক স্বরচিত সংস্কৃত শ্লোক পাঠ এবং তাহার ব্যাখ্যা করিতেছিলেন। বঙ্কিম এক প্রান্তে দাড়াইয়া শুনিতেছিলেন। পণ্ডিত মহাশয় সহসা একটা শ্লোকে পতিত ভারতসন্তানকে লক্ষ্য করিয়া একটা অত্যন্ত সেকেলে পণ্ডিতী রসিকতা প্রয়োগ করিলেন,