পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ર 8 বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ঠাকুরের নাকটা ঠোঁট ছাড়াইয়া গালের ভিতর উকি মারিতেছে। দেখিতেছ ত ? বালক । হা । বঙ্কিম। কেন বল দেখি ? বালক । তা’ জানিব কেমন করে’ ? বঙ্কিম। কথকঠাকুর যখন আহার করেন, তখন নাকটা গালের ভিতর হইতে আহারের দ্রব্যাদি চুরী করিয়া খায়, কথকঠাকুর উহ জানিতে পারেন না। এই কথায় বালকের উচ্চহাসি হাসিল, শ্রোতৃবর্গের মধ্যে কর্তৃপক্ষের বালকদিগকে ধমক-ধামক করিতে লাগিলেন। নিকটে দুই একটি প্রাচীন যাহারা ঐ কথা শুনিয়াছিলেন, হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “ধমকাইবেন না, বড় সরস কথাটা হইয়াছে, কথা ভাঙ্গিলে বলিব ।” বাস্তবিক নাকটা এত লম্বা যে, প্রায় মুখের ভিতর আসিয়া পড়িয়াছে। প্রতিভাশালী বঙ্কিমচন্দ্র তাহ লইয়া রহস্ত করিতেছিলেন। নিকটস্থ এক জন প্রাচীন জিজ্ঞাসা করিলেন, “আচ্ছা, এখন ত কথকঠাকুর কিছু আহার করিতেছেন না, তবে নাকটা কি থাবার লোভে মুখের ভিতর উকি মারিতেছে ?” প্রত্যুৎপন্নমতি বঙ্কিমচন্দ্ৰ হাসিয়া উত্তর করিলেন, “এখন নাক কথকঠাকুরকে খাওস্বাইতেছে, নাকের সরস নম্ভ কথকঠাকুরের গালের ভিতর ফোট ফোটা ঢালিতেছে, কথকঠাকুর মাথা নাড়িতে নাড়িতে থাইতে অস্বীকার করিতেছেন, এবং মুহুমুহুঃ গামছা দিয়া ঠোটমুছিতেছেন।” এই কথায় বালকেরা ও নিকটস্থ দুই জন প্রাচীন বড় হাসি হাসি