পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

جمعیت বঙ্কিমচন্দ্র ও কথকঠাকুর যুবক ছিলেন-হাসিয়া উত্তর করিলেন, “বালক শিখিবার জন্ত আপনাকে বিরক্ত করে।” সেই অবধি বঙ্কিমচন্দ্র আর কথকঠাকুরকে কোনও প্রশ্ন করিতেন না। - প্রতিদিন কথকতা শেষ হইলে বঙ্কিমচন্দ্র একখানি চেয়ার অথবা টুল লইয়া নদীতীরে বসিয়া থাকিতেন ; পিতামহীর গঙ্গাবাস উপলক্ষে চেয়ার ও টুলের অভাব ছিল না। তিনি বসিয়া নদীর দিকে চাহিয়া থাকিতেন। এখন আর তিনি রহস্তপ্রিয় বালক নহেন, সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হইয়া গাষ্ঠীগুলীি প্রবণের স্বভাব পাইয়াছেন। বঙ্কিমচন্দ্রের পিতামহীর গঙ্গাতীরে বাসকালে প্রথম দুই সপ্তাহ কৃষ্ণপক্ষ ও শেষ সপ্তাহ দেবীপক্ষ ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র এই তিন সপ্তাহ কাল প্রতিদিন সন্ধ্যাকালে ভাগীরথীর তীরে বসিতেন, কখনও আকাশে সন্ধা-তারা উঠিতেছে—তাহাই দেখিতেন, কখনও বা আকাশে কাস্তের ন্তায় চাদ উঠিতেছে—( দেবীপক্ষ ) তাহাই দেখিতেন, সঙ্গিগণ র্তাহার পশ্চাতে দাড়াইয়া অঙ্গুলি দ্বার তারা গুণিত, “ঐ একটা, ঐ দুটাে, রাখাল বল দেখি, তোর আমার ক’ চোক্‌ ?” সে উত্তর করিত, “চার চোক্‌ ৷” “ঐ দেখ, শক্ৰ শালার এক চোক।” এইরূপে "অন্তান্ত বালকগণ দৌড়াদৌড়ি করিয়া খেলিত, কিন্তু প্রতিভাশালী বঙ্কিমচন্দ্র একমনে ভাগীরথীতীরে সন্ধ্যার সৌন্দৰ্য্য দেখিতেন। অন্ধকার ধীরে ধীরে নদীবক্ষে বিচরণ করিতেছে, দেখিতে দেখিতে নদীবক্ষ গাঢ় অন্ধকারময় হইল, কিছুই দেখা যায় না, কেবল এপারের ও পারের নৌকাশ্রেণীর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোগুলি মনুষ্ক-জীবনের আশার স্তায় একবার নিবিতেছে, একবার