পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२७ বঙ্কিম-প্রসঙ্গ থাকিতেন, এবং অপরকেও ঐরূপ করাইতেন। হাকিম হইয়া যখন উকীল মোক্তারের বক্তৃতা শুনিতেন, তখন কান টিপিয়া তাহাদের মুখ প্রতি চাহিয়া থাকিতেন কি না, সে বিষয়ে কোনও সংবাদ আমরা পাই নাই। বঙ্কিমচন্দ্র-প্রদর্শিত প্রকরণ কিছুদিন তাহার সঙ্গীদের মধ্যে প্রচলিত ছিল ; এই ক্ষুদ্র লেখকও আবশ্যক হইলে ঐ প্রকরণ অদ্যাপি অবলম্বন করিয়া থাকেন । র্তাহার একটি জমীদার আত্মীয়ের নাক বড় লম্বা ছিল, তিনি । র্তাহার সহিত তামাস করিতেন। বঙ্কিমচন্দ্র তাহাকে একদিন জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি পেট ভরে খেতে পান ত?” “কেন ? পেট ভরে খেতে পাব না কেন ?” “বলি, আপনার নাকটার জন্য কিছু ব্যাঘাত হয় না ত ? নাকটা কিছু ভাগ লয় না ত?” ইহা শুনিয়া জৰীদার বাবু খুব হাসিয়াছিলেন। ঐরুপ কথার দুষ্টামী তাহার যাবজ্জীবন ছিল ; বাল্যকালে কিংবা কোনও কালে বাক্যে ভিন্ন কার্যে র্তাহার দুষ্টামী ছিল না। প্রতিদিন কথকতা শেষ হইলে বালক বঙ্কিমচন্দ্র কথকঠাকুরের পশ্চাদমুসরণ করিতেন, এবং নানা প্রশ্ন করিতেন। - কথকঠাকুর । তেমন পণ্ডিত ছিলেন না, সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিতেন না, । স্বতরাং বিরক্ত হইতেন। এইরূপ প্রতিদিন করাতে কথকঠাকুর একদিন বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজকে ( সঞ্জীবচন্ত্র) বলিলেন, “আপনার এ ভাইটি আমায় বড় বিরক্ত করিয়া থাকে |” বঙ্কিমচন্দ্রের অগ্রজের তখনও কৈশোর উত্তীর্ণ হয় নাই,—তিনিও একজন প্রতিভাশালী