পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰঙ্কিমচন্দ্র ও কথকঠাকুর כיסא 3) যে গ্রামে বঙ্কিমচন্দ্রের পৈতৃক বাটী,তাহার আশে পাশে বড় বড় গ্রাম, আর সম্মুখে অর্থাৎ ভাগীরথীর পশ্চিম পারে তিন চারিট বড় বড় নগর ছিল, তাহাতে অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি বাস করিতেন। সে কারণ দুর্গোৎসবের বিজয়ার দিন ভাগীরথীবক্ষে বড় সমারোহ হইত ; এক্ষণে কালমাহাত্ম্যেই হউক, অথবা দরিদ্রতা জন্তই হউক, সেরূপ সমারোহ আর নাই। ঐ সময় বিজয়ার দিনে বিকালে ফরাসডাঙ্গার নীচে অনেক নৌকা শ্রেণীবদ্ধ হইয়া দশভূজার প্রতিমা লইয়া জাহ্নবীবক্ষে বিচরণ করিত ; কোনও নৌকাতে যাত্রা হইত, কোনও নৌকাতে নাচ হইত, আর এই সকল নৌকার কিঞ্চিংদুরে অর্থাৎ বাহির-নদীতে অনেকগুলি ছত্রহীন বাচের নৌকা বাচ খেলাইয়া বেড়াইত,—ইহাকেই Boat Race বলে। কাহারও বার দাড়, কাহারও ষোল দাড়। এই সকল নৌক সন্থসন বেগে যাইতেছে, ঘুরিতেছে, ফিরিতেছে, এবং অন্তান্ত নৌকার দাড়ীদিগের গাত্রে দাড়ের জল দিতেছে! দর্শকগণ দশভূজার প্রতিমা ভুলিয়া গিয়া এই বাচের নৌকাগুলির গতি দেখিতেছে, এবং বাহবা দিতেছে। যখন চোঁদ পনর বৎসর বয়ঃক্রম, তখন একখানি নৌকাতে বঙ্কিমচন্দ্র ভ্রাতাদিগের সহিত ফরাসডাঙ্গায় ভাসান দেখিতে গিয়াছিলেন। আসিবার সময়ে সন্ধ্য হইল। ভাগীরথীর পূৰ্ব্বতীরে শ্মশানভূমিতে একটি শবদাহ হইতেছিল। নিকটে অনেকগুলি ভদ্রলোক দাড়াইয়া ; একটি স্ত্রীলোক উন্মত্তার স্তায় প্রজলিত চিতাতে ঝাপ দিবার চেষ্টা করিতেছিল, কিন্তু তাহার সঙ্গিনীগণ