পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যশিক্ষা woe অনুরোধেই অতি শৈশবে ইংরাজি শিক্ষার জন্ত পিতৃদেব বঙ্কিমচন্দ্রকে ঐ স্কুলে ভৰ্ত্তি করিয়া দেন। বৎসরান্তে পরীক্ষার ফলে সাহেব র্তাহাকে ডবল প্রোমোশন দিতে চাহিলেন, কিন্তু পিতৃদেবের আপত্তিতে তাহ ঘটিল না। বঙ্কিমচন্দ্রকে বৈকালে টিড সাহেবের বিবি লোক পাঠাইরা লইয়া যাইতেন। আমাদের বাসার সম্মুখে একটা ক্ষুদ্র মাঠে স্কুল ছিল। ঐ স্কুল-বাটতেই তাহাদের বাস ছিল। এখন সেখানে স্কুল নাই, সে মাঠে সরকারী বাট প্রস্তুত হইয়াছে। বঙ্কিমচন্দ্র প্রতিদিন বৈকালে ঐ স্থানে যাইতেন। এই সময়ে মলেট সাহেব নামে এক জন হালুবরি সিভিলিয়ান মেদিনীপুরের ম্যাজিষ্ট্রেট ছিলেন। টিড সাহেবের বিবির সহিত র্তাহার বিবির বিশেষ প্রণয় ছিল। টিড সাহেবের বিবি র্তাহার ছেলেদিগকে ও বঙ্কিমচন্দ্রকে লইয়া প্রতিদিন বৈকালে ম্যাজিষ্ট্রেটের কুঠতে যাইতেন। মলেটসাহেবের বাটী আমাদের বাসার উত্তরে, মধ্যে কেবল একটা মাত্র উচ্চ প্রাচীরের ব্যবধান। শুনিয়াছি, বঙ্কিমচন্দ্র বসিয়া বিবিদের সহিত গল্প করিতেন, ও তাহাদের ছেলেরা মাঠে দৌড়দৌড়ি করিত। বঙ্কিমচন্দ্র দৌড়াদৌড়ি করিতে পারিতেন না, সে জন্স কখনও বলিষ্ঠও ছিলেন না । এইরূপ প্রায় তিন বৎসর কাল বৈকালে বঙ্কিমচন্দ্র র্তাহাদের বাটতে যাতায়াত করিতেন। হঠাৎ একটা ঘটনায় যাতায়াত বন্ধ হইল। একদিন সন্ধ্যার সময় মলেট সাহেবের কুঠার মাঠে টেবিলচেয়ার পড়িল, বিবির চা প্রস্তুত করিতে উঠিয়া গেলেন। ইতিমধ্যে কুমীর ভিতর হইতে এক জন অপরিচিত সাহেব আসি ছেলেজের