পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ 8ס\ নাই। যদি বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনচরিত লিখিতে বসিতাম, তাহা হইলে চেষ্টা করিতাম, কিন্তু সে সময় আমার অতীত হইয়া গিয়াছে। এখন বঙ্কিম-প্রসঙ্গ দুই চারিট প্রবন্ধে যাহা লিখিয়াছি, তাহা কেবল র্তাহার জীবনের ঘটনা অবলম্বনে । কথিত আছে যে, প্রতিভাবান ব্যক্তিদিগের জীবনচরিত লিখিত হয়, প্রধানতঃ লোকশিক্ষার জন্ত ৷ হইলেও হইতে পারে। কিন্তু আমি বঙ্কিমচন্দ্রের জীবনের দুই একটা ঘটনা যাহা লিথিয়াছি, তাহা কোনও উদ্দেশ্য লইয়। লিখি নাই । এ বয়সে সে সব কথার আলোচনায় নিজে তৃপ্তি পাই, তাই লিখি, এবং বঙ্কিমচন্দ্রের আত্মীয়, বন্ধু ও পাঠকগণের সে সকল প্রসঙ্গ ভাল লাগিতে পারে, এই জন্য লিখি । বঙ্কিমচন্দ্র ভাগ্যক্রমে বাল্যকাল হইতে বিষ্ঠোৎসাহী ও সুশিক্ষিত ব্যক্তিগণের সহবাসেই থাকিতেন। পিতৃদেব র্তাহার অসামান্ত প্রতিভা বুঝিতে পারিয়া তাহার শিক্ষাসম্বন্ধে বিশেষ যত্নবান ও সতর্ক ছিলেন। শৈশবে বঙ্কিমচন্দ্র মেদিনীপুরে শিক্ষা পান। পিতৃদেব তখন ঐ স্থানে ডেপুটী কালেক্টর ছিলেন। শুনিয়াছি, বঙ্কিমচন্দ্র একদিনে বাঙ্গালা বর্ণমালা আয়ত্ত করিয়াছিলেন। মেদিনীপুরে একটা হাই স্কুল ছিল। টিড নামে এক জন বিলাতী সাহেব উহার হেডমাষ্টার ছিলেন । অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্রের সহিত বঙ্কিমচন্দ্র মধ্যে মধ্যে ঐ স্কুলে যাইতেন। একদিন ঐ সাহেব ক্লাস-পরিদর্শনে আসিয়া তাহার পরিচয় লইলেন। সঞ্জীবচন্দ্র অনুজের কথা বলিবার সময়, তাহার যে এক বেলার মধ্যে বর্ণপরিচয় হইয়াছিল, সে কথার উল্লেখ করেন। টিড সাহেব শুনিয়া প্রীত হইলেন, এবং পরে তাহার