পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যশিক্ষা ووي রচিত। তখন র্তাহার সহিত বঙ্কিমচন্দ্রের গুরু-শিষ্য সম্বন্ধ হয় নাই বটে, কিন্তু আমাদের বাটতে “প্রভাকর” ও “সাধুরঞ্জন" পত্রিকা আসিত ; উহার মধ্যে যে কবিতাগুলি ভাল লাগিত, বঙ্কিমচন্দ্র সে সমস্তই কণ্ঠস্থ করিতেন। - একালে যেমন recitaion-এর একটা হুজুগ উঠিয়াছে, পুরস্কারের জন্ত ছাত্রেরা ঘরে ঘরে বাঙ্গাল ও সংস্কৃত কবিতা আবৃত্তি করিতেছে, বঙ্কিমচন্দ্র বাল্যকালে অনেকগুলি শ্লোক ও কবিতা তেমনিই আবৃত্তি করিতেন। তাহার আবৃত্তির সময়াসময় ছিল না। বঙ্কিমচন্দ্র সুলেখক বলিয়া সাধারণে পরিচিত, কিন্তু তিনি যে এক জন উৎকৃষ্ট পাঠক ছিলেন, তাহ অনেকে জানেন না । অমিত্ৰাক্ষর ছন্দের নূতন স্বষ্টি হইলে উহার নামে আমার গায়ে জর আসিত, কিন্তু যেদিন বঙ্কিমচন্দ্রকে “মেঘনাদ-বধ” কাব্য পাঠ করিতে শুনিলাম, সেইদিন হইতে আমি এই কাব্যের গোড়া হইলাম! কতবার উহা পড়িয়াছি, তাহার ঠিক নাই! বঙ্কিমচন্দ্রের অনুকরণে পড়িতাম। তিনি যখন পুস্তক পাঠ করিতেন, সকলে নিঃশব্দে শুনিতেন। বাল্যকালে তিনি যখন কবিতা বা শ্লোক আবৃত্তি করিতেন, তখন আশে-পাশে লোক দাড়াইয় গুনিত। একদিন তিনি তাহার পড়িবার ঘরে বসিয়া “পাঙ্কদূতে’র "গোপীভত্ত্ববিরহবিধুরা কাচিদিল্লুবরাহ্মী ইত্যাদি শ্লোকটার আবৃত্তি করিতেছিলেন, এমন সময়ে ঐ ঘরে অনেকগুলি পণ্ডিত প্রবেশ করিলেন। তন্মধ্যে দেশবিখ্যাত পরমপূজ্য পণ্ডিত "vছলখর তর্কচড়ামণি মহাশয় ছিলেন । ইহার পিতৃদেবের সহিত সাক্ষাৎ