পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిy বঙ্কিম-প্রসঙ্গ করিতে আসিয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্ত্রের সুন্দর আবৃত্তি শুনিয়া তাহার র্তাহার ঘরে প্রবেশ করিলেন। আমি এই পড়িবার ঘরে থাকিতাম, পড়ি না পড়ি, একখানি পুস্তক হাতে লইয়া বসিয়া থাকিতাম, আর সময়-সময় চুলিতাম, বিশেষতঃ সন্ধ্যার সময় ঢুলিতে ঢুলিতে ঐ স্থানেই ঘুমাইয়া পড়িতাম। তর্কচূড়ামণি মহাশয় এক জন প্রতিভাবানু ও অসাধারণ পণ্ডিত ছিলেন। বোধ হয়, স্বৰ্গীয় জগন্নাথ তর্কপঞ্চানন ভিন্ন তাহার তুল্য পণ্ডিত বাঙ্গালা দেশে আর জন্মগ্রহণ করেন নাই। বঙ্কিমচন্দ্র সসন্ত্রমে তাহাদিগকে বসাইলেন ও তর্কচূড়ামণি-মহাশয়ের অনুরোধে শ্লোকটর ব্যাখ্যা করিলেন। ইহার পর হইতে চূড়ামণি মহাশয় মধ্যে মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের ঘরে আসিতেন ও মহাভারতের অনেক কথা শুনাইতেন। র্তাহারই নিকট “নলোপাখ্যান” ও "শ্ৰীবৎস রাজার উপাখ্যান” আমি প্রথম শুনি। আমার ধারণ), বঙ্কিমচন্ত্রের প্রতিভ চূড়ামণি-মহাশয়ের প্রতিভাকে আকৃষ্ট করিয়াছিল,নতুবা এই অসাধারণ পণ্ডিত বালক বঙ্কিমচন্দ্রকে শিক্ষা দিবার জন্ত এত চেষ্টত হইবেন কেন ? বঙ্কিমচন্দ্রকে সংস্কৃত শিক্ষা দিবা জন্ত তর্কচূড়ামণি মহাশয় পিতৃদেবের নিকট প্রস্তাব উত্থাপন করিয়াছিলেন, কিন্তু বালক দুইটা ভাষা এক সঙ্গে শিখিতে পারিবে না, এই উত্তরে নিরস্ত হইয়াছিলেন। ভারতচন্দ্রের একটা কবিতা বঙ্কিমচন্দ্রের মুখে সৰ্ব্বদা গুনিতাম,“বিনাইয়া বিনোদিনী বেণীর শোভায়, সাপিনী তাপিনী তাপে বিবরে লুকায়।” যৌবনে বঙ্কিমচন্দ্র ভারতচক্সের ছন্দোবন্ধের বড় প্রশংসা করিতেন, কিন্তু তাহার কবিত্বের প্রশংসা করিতেন না। দুর্গেশ"