পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যকথা সেকালের পল্লীগ্রামমাত্রেই পাঠশালা থাকিত। আমাদের গ্রামেও পাঠশালা ছিল, আমাদের বাটীর সন্নিকটে একটি ছিল। বঙ্কিমচন্দ্র কখনও পাঠশালায় পড়েন নাই, আমার জ্ঞানে ত নছে। হুগলি কলেজে ভৰ্ত্তি হইবার পূৰ্ব্বে র্তাহাকে এক জন private tutor সকালে ও সন্ধ্যার পর পড়াইয়া যাইত। বঙ্কিমচন্দ্র তখন বালক, উপনয়ন হয় নাই। এই অবস্থায় তিনি মধ্যে মধ্যে ঐ পাঠশালায় উপস্থিত হইতেন। গুরুমহাশয় কায়স্থ-সন্তান, বড় রাসভারি লোক, ছাত্রের তাহাকে যমের ন্যায় ভয় করিত। যখন তিনি ভূমিতে বেত আছড়াইয়া, "লেখ লেখ, শূদ্বাররা” বলিয়৷ চীৎকার করিতেন, তখন ছাত্রের থরহরি কঁাপিতে থাকিত। বালক বঙ্কিম, এক এক দিন বৈকালে এই পাঠশালায় উপস্থিত হইলে অভ্যর্থনাস্বরূপ গুরুমহাশয় হাসিয় তাহার হস্তে বেতগাছটি তুলিয়া দিতেন। বালক বঙ্কিম বেত লইয়া কোন কোন ছাত্রের । নিকট গিয়া তাহার পরীক্ষা করিতেন। ছাত্রের কেহ বা তাহার বরোজ্যেষ্ঠ, কেহ সমবয়স্থ, কেহ বা বয়ঃকনিষ্ঠ। অধিকাংশ ছাত্ৰ । তাহার বয়োজ্যেষ্ঠ ছিল। এইরূপ ঘুরিতে पूब्रिाउ झुरे ठिन छन।