পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যকথ। 8t বহর শুনিলে আমাদের গ্রামের লোকের হৃৎকম্প হইত। বঙ্কিমচন্দ্র গুরুমহাশয়-দত্ত বেত্ৰহস্তে দাড়াইয়া আছেন, এমন সময়ে একদল গোরা আসিতেছে, দেখা গেল। তাহারা আসিয়া বঙ্কিমচন্ত্রের সম্মুখে দাড়াইয়া কি কথা কহিতে লাগিল, এক জন বেতটি লইয়৷ দেখিতে লাগিল। এইরূপে দলে দলে গোরা আসিতে লাগিল । বালক বঙ্কিম স্থিরভাবে সেখানে দাড়াইয়া রহিলেন। অৰ্দ্ধঘণ্টার মধ্যে তাহারা ফিরিয়া গেল, বহর ছাড়িয়া দিল, গ্রাম আবার সূত্নীৰ হইল । কথাটা অতি সামান্ত বটে, কিন্তু যে গ্রামের লোকের গোরার ভয়ে পলাইল, সকল দরজা বন্ধ হইল, বালক বঙ্কিম সেই গ্রামেই প্রতিপালিত, আকাশ হইতে পড়েন নাই। তিনি নিৰ্ভয়ে বেত্ৰহস্তে গোরার সম্মুখে দাড়ান কেন, এই তেজটুকু বালকের পক্ষে অসামান্ত বোধ হওয়াতেই এই স্থলে এই ঘটনাটির উল্লেখ করিলাম। তিনি নিজেই চন্দ্রশেখরের এক স্থানে লিখিয়া গিয়াছেন যে, “বাঙ্গালীর ছেলে মাত্রেই জুজুর নামে ভয় পায়, কিন্তু এক একটি এমন নষ্ট বালক আছে যে, জুজু দেখতে চায়।” * বঙ্কিমচন্দ্র চিরকালই ষাঁড়গরু ইত্যাদি দেখিলে দূরে সরিয়া যাইতেন, মই দিয়া ছাদে উঠিতে পারিতেন না, সাঁতার জানিতেন না, এক জন ভাল Executive Officer ছিলেন, তথাপি কখনও ঘোড়ায় চড়িতে পারিতেন না। ১৭১৮ বৎসর বয়ঃক্রম কালে আমি পিতৃদত্ত একটি ঘোড়ায় চড়িয়া বেড়াইতাম। তিনি পূজার ছুটীতে কৰ্ম্মস্থল হইতে বাড়ী আসিয়া, উহা জানিতে পারিয়া