পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

隠も বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ঘোড়াট বিক্রয় করাইলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই ষে, ইনিই বাল্যকালে একদিন ডাকাতদের ভয় করেন নাই ; কৈশোরে নদীবক্ষে ঝড় তুফানের ভয় করিতেন না, আর যৌবনে গুলিভরা পিস্তল গ্রাহ না করিয়া এক জন সাহেবকে গ্রেপ্তার করিয়াছিলেন। যখন বঙ্কিমচন্দ্রের বয়স দশ কি এগার বৎসর, তখন একদিন ংবাদ আসিল যে, এক দল ডাকাত আমাদের বাটীতে ডাকাতি করিবে। পিতৃদেব তখন বাটতে ছিলেন না, জেঠামহাশয়, খুড়ামহাশয়, পিসেমহাশয় প্রভৃতি মুক্লবীগণ বন্দোবস্ত করিলেন যে, স্ত্রীলোকের ও আমরা চার ভ্রাত। কয়েক রাত্রের জন্য প্রতিবাসীর গৃহে বাস করিব। ইহা শুনিবামাত্র বালক বঙ্কিম বাকিয়া বসিলেন, কুঞ্চিত কেশরাশি দুলাইয়৷ ঘাড় নাড়িয়া বলিলেন, “তাহা কখনই হইতে পারে না, বাড়ী ছেড়ে কোথাও যাইব না।” পিসেমহাশয় বলিলেন, “তবে ডাকাত আসিয়া সকলকে কাটিয়া যাক।” বঙ্কিম বলিলেন, “কেন কেটে যাবে ? আমাদের বাড়ীতে ত অনেক লোক আছে, আর গ্রামের তেওর বাগদি, যাহার এক একজন লাঠিয়াল ও বোম্বেটেগরি করে, তাহদের নিযুক্ত করুন, সাধ্য কি যে, ডাকাতরা আমাদের কেটে যায়।” তাহার অগ্রজন্বয়েরও ঐ মতে মত হওয়াতে, বালক বঙ্কিমেরই পরামর্শমতে কার্য হইল। কয় রাত্রি ধরিয়া অনেক লোক আমাদের বাড়ী পাহার দিত। ডাকাত আসিয়া ফিরিয়া গেল। ঐ দিন হইতে গুরুজনের বঙ্কিমচন্ত্রকে *ৰ্বাকা” বলিয়া ডাকিতেন ।