পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রর বাল্যকথা 8న আপনা-আপনি এক স্থানে তীরলগ্ন হইল। বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কোন জায়গা ?” মাঝি বলিল, “বুঝি মূলাযোড়।” কপালকুণ্ডলা গল্পটি যে কুজ ঝটিকায় আরম্ভ হইয়াছিল, তাহ নিশ্চয় এই দিনের ঘটনাবলম্বনে । বঙ্কিমচন্দ্র বাল্যে এবং কৈশোরে গল্প শুনিতে ভালবাসিতেন । কিন্তু যে সে লোকের নিকট নহে, কিংবা যা ত’ গল্প নছে—সেকালের লোকের নিকট, সেকালের গল্প। বঙ্কিমচন্দ্রের দুই একখানি উপন্যাস কোন কোন ঘটনা অথবা কোন কোন গল্প অবলম্বনে রচিত হইয়াছিল। গত চৈত্র মাসের “ভারতী’তে “বঙ্কিমচন্দ্রদীনবন্ধু” প্রবন্ধে কি ঘটনা অবলম্বনে কপালকুগুল রচিত হইয়াছিল, তাহা লিখিয়াছি। এই প্রবন্ধে আরও দুইখানির কথা লিখিব। আমাদের খুল্লপিতামহ এক শত আট বৎসর বয়ঃক্রম পৰ্য্যন্ত জীবিত ছিলেন। তিনি আমার পিতামহের মধ্যম ভ্রাতা, তাহাকে আমরা মেজঠাকুরদা বলিয়া ডাকিতাম। র্তাহার নিকট বঙ্কিমচন্দ্র ও আমরা সকলে গল্প শুনিতাম। যাহা শুনিতাম, তাহা বাঙ্গালার ইতিহাসের অন্তর্গত ; উহ প্রায়ই বঙ্গের মুসলমানরাজত্বের অবসানকালের কথা । ইনি গল্প করিতে ভালবাসিতেন ও গল্প করিতে জানিতেন। আধুনিক কোনও কোনও বিদেশী গল্প-লেখকেরা যেমন নায়ককে মিষ্টার এবং নায়িকাকে মিস্ লিখিয়া থাকেন, এই বর্ষীয়ান তেমনই তাহার নায়ককে মির্জা ও নায়িকাকে বিৰি বলিতেন । র্তাহার নিকট বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম গড়মান্দারণের ঘটনা শুনিয়াছিলেন ; যদিও ঐ ঘটনা আকবর শাহ বাদশাহের সময়