পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(to বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ঘটয়াছিল, তথাচ তিনি উহা জানিতেন। সেকালের প্রাচীনেরা মুসলমান বাদশাহদিগের সময়ের অনেক ঘটনা জানিতেন। আমাদের মেজঠাকুরদাদার মধ্যে মধ্যে বিষ্ণুপুর অঞ্চলে যাতায়াত ছিল। মান্দারণ গ্রাম, জাহানাবাদ ও বিষ্ণুপুরের মধ্যস্থিত। ঐ অঞ্চলে মান্দারণের ঘটনাটি উপন্যাসের দ্যায় লোকমুখে কিম্বদন্তীরূপে চলিয়া আসিতেছিল। মেজঠাকুরদা উহা ঐ স্থানে শুনিয়াছিলেন, এবং মাদারণের জমীদারের গড় ও বৃহৎ পুরী ভগ্নাবস্থায় দেখিয়াছিলেন। তাহারই মুখে প্রথম শুনি যে, উড়িষ্যা হইতে পাঠানের মান্দারণ গ্রামের জমীদারের পুরী লুটপাট করিয়া তাহাকে ও তাহার স্ত্রী ও কন্যাকে বন্দী করিয়া লইয়া যায়, রাজপুতকুলতিলক কুমার জগৎসিংহ তাহাদের সাহায্যার্থ প্রেরিত হইয়া বন্দী হইয়াছিলেন। এই গল্পটি বঙ্কিমচন্দ্র আঠার উনিশ বর্ষ বয়ঃক্রমে শুনিয়া •ছিলেন। তাহার কয়েক বৎসর পরে দুর্গেশনন্দিনী রচিত হইল। সরকারী কাৰ্যোপলক্ষে সঞ্জীবচন্দ্র কিছুকাল জাহানাবাদে ছিলেন। তিনিও ঐ ঘটনাটি সেখানে শুনিয়া আমাদের নিকট গল্প করিয়াছিলেন। তখন বোধ হয় দুর্গেশনন্দিনী প্রকাশিত হইয়াছিল। কপালকুণ্ডল উপন্যাসের ‘মতিবিবি বোধ হয় একটা গল্প অবলম্বনে অঙ্কিত হয়। কোন দরিদ্র গৃহস্থের বধু যৌবনারম্ভে কুলত্যাগিনী হইয়া কোন ধনাঢ্য যুবার রক্ষিত হয়। প্রায় পাঁচ ছয় বৎসর পরে হঠাৎ একদিন তাহার স্বামীকে দেখিয়া তাহার হৃদয় কাদিয়া উঠিল, সে কারা আর থামিল না। কিছুদিন পরে প্রভুর অতুল ঐশ্বৰ্য্য তাহার যাহা কিছু সঞ্চিত ধন ছিল, তাহ লইয়।