পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাল্যকথা t? স্বামিদৰ্শন-আকাঙ্ক্ষায় তাহাদের গ্রামে আসিয়া বাস,করিল। এমত স্থানে বাসা লইল, যাহাতে প্রতিদিন স্বামীকে দেখিতে পার। প্রতিদিন তাহাকে দেখিত, আর কঁাদিত। এইরূপ দিবানিশি কাদিত। কুলৰ্ত্যাগিনী হইলেও তাহার প্রতিবেশিনীগণ তাহার দুঃখ শুনিয়া তাহাকে সান্থনা করিতে আসিত। এইরূপে কিছু দিন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিয়া এই চির-অভাগিনীর যৌবনেই জীবনান্ত ठ्ठत्न । ইহার চরিত্রের সঙ্গে মতিবিবির কোন সাদৃশ্য নাই বটে, কিন্তু ঘটনার সাদৃশু আছে। বর্ষীয়ান, খুল্লপিতামহের নিকট আমরা কয় ভ্রাতা ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের কথা প্রথম শুনি । ইহার গল্প করিবার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। যেরূপে ঐ সময়ের অবস্থা বিবৃত করিয়াছিলেন, তাহা আমার বোধ হয় এক জন লেখকেও পারিত কি না সন্দেহ। সেকালের লোক ফসল, “অজন্মা’,এই সকল কথার সর্বদা আন্দোলন করিতে ভালবাসিত। মেজঠাকুরদা প্রথমে ফসলের কথা তুলিলেন। পরে কি প্রকারে তিল তিল করিয়া মন্বন্তর ভীষণ মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া বঙ্গদেশ ছারখার করিল, তাহ বিবৃত করিলেন। তিন চারি বৎসর পূর্ব হইতে অজন্ম হইল, আর ঐ বৎসর (১২৭৬ সালে) ফসল হইল না ; এই কয় বৎসর অজন্মার ফলে নিম্নশ্রেণীর লোকদের আহার বন্ধ হইল, পরে মধ্যশ্রেণীর গৃহস্থের, পরে ধনবানদেরও আহার বন্ধ হইল। এই শেষোক্ত শ্রেণীর লোকদিগের কাহারও কাহারও লক্ষ লক্ষ টাকা পোত খাঞ্চিত, (সেকালে এইরূপে টাকা সঞ্চিত খাতি),