পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এস এস বধু এস! « ፃ ঘাড়ে বসির ঠোকরাইবে” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “অমুরের অপরাধ ?” তিনি বলিলেন, “অপরাধ কিছুই नप्रु-शशब প্রবলপ্রতাপান্বিত, অপরাজেয়, যাহাদের সকলে ভয় করে, তাহাদের মুমু অবস্থাতে ক্ষুদ্র প্রাণিগণ তাহাদের উপর যথাসাধ্য অত্যাচার করে।” আমি বলিলাম, “অমুরের ত এখন মুমুধু অবস্থা নহে, ঐ দেখুন, ভীষণ মূৰ্ত্তি ধরিয়া দেবীকে তরওয়াল উঠাইয়া মারিতে উদ্যত ।” তাহাতে তিনি উত্তর করিলেন, “বটে বটে ! বীর পুরুষেরা, তেজস্বী পুরুষের শত্র-হস্তে ঐৰূপেই মরে, ম’রেও মরে না, কিন্তু অমুরের আর কি আছে, অমুর ত মরেছে, সিংহ ভীষণ দন্ত দ্বারা উহাকে কামড়াইতেছে, আর দেবী একটা ভয়ানক সাপ উহার গায়ে ছাড়িয়াছেন, সে মুহুমুহুঃ উহাকে ছোবলাইতেছে, তার তিনি স্বয়ং দক্ষিণের এক হস্তে বর্শা দ্বারা সজোরে উহার বক্ষঃ বিদীর্ণ করিতেছেন, আর বাকী অষ্ট হস্ত প্রসারণ করিয়া উহাকে নানা অস্ত্র দ্বারা ক্ষতবিক্ষত করিতেছেন,—অমুর মরেছে, ক্ষুদ্র প্রাণীদের ঘাড়ে চড়িবার এই ত সময়।” কথাগুলি আমার যতদূর স্বরণ আছে, তাহ আমি আমার নিজের ভাষায় সাজাইয়া বলিলাম। এই কথোপকথনের পর বঙ্কিমচন্দ্র চলিয়া গেলেন। আমিও র্তাহার বৈঠকখানা ঘরে গিয়া বসিলাম। সেখানে কেহ তামাক খাইতেছিলেন, কেহ বা খোস গল্প করিতেছিলেন, প্রায় সকলেই বঙ্কিমের প্রতিবাসী। কেহ কেহ প্রথম রাত্রের ফলাহারের পর আর বাট যান নাই, ঐ ঘরেই ছিলেন। আর কেহ কেহ বাস্কোপ্তম গুনিয়া আসিয়াছিলেন। শেষোক্ত ব্যক্তিদিগের মধ্যে এক জন বিদেশীয়,—