পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

線や বঙ্কিম-প্রসঙ্গ আমি একট থামে ঠেস দিয়া দাড়াইয়াছিলাম। কি দেখিতেছিলাম ঠিক মনে নাই। ছেলেগুলি আলোর নিকট ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল। পাছে তাহারা আলোতে কাপড় ধরাইয়া ফেলে, বোধ হয়, তাহাই দেখিতেছিলাম। এমন সময়ে আমার পশ্চাতে কে যেন আসিয়া দাড়াইল। ফিরিয়া দেখিলাম—বঙ্কিমচন্দ্র। তাহাকে দেখিয়া আমি ঈষৎ সরিয়া দাড়াইলাম। তিনি আমার কাধে হাত দিয়া টানিলেন, অর্থাৎ সরিয়া যাইতে নিষেধ করিলেন। তাহার বয়ঃক্রম তখন পয়ত্রিশ হইতে চল্লিশের মধ্যে, গোফের চুল পাকিতে আরম্ভ করিয়াছে, মস্তকের অনেকগুলি কেশ পাকিয়ছে। তখন বঙ্গদর্শনের পূর্ণযৌবন বঙ্গসাহিত্য ; সমাজে তাহার একাধিপত্য। তিনি অনেকক্ষণ স্থিরভাবে প্রতিমার প্রতি চাহিয়া রছিলেন, মুখে কোনও কথা নাই। আমি তাহার কিছু পূৰ্ব্বে আসিয়া অসুরের মাথায় কৃষ্ণবর্ণের একটি ক্ষুদ্র পদার্থ দেখিয়াছিলাম, কিন্তু উহা যে কি, দূর হইতে তাহা বুঝিতে পারি নাই; পরে জানিয়াছিলাম, উহা বিল্বপত্র। বঙ্কিমচন্দ্রকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “অমুরের মাথায় ওটা কি ?” কিছুক্ষণ পরে তিনি উত্তর করিলেন, “উহা গণেশের ইছর।" আমি বললাম, "গণেশের ইদুর অমুরের মাথায় কেন ?” তিনি উত্তর করিলেন, “ক্ষুদ্র জানোয়ারদের অমুরের ঘাড়ে উঠবার ঠিক এই সময় হইয়াছে, —দেখ, ঐ কাৰ্ত্তিকের ময়ুর অমুরকে ঠোকরাইবার জন্ত ঘাড় বাকাইতেছে—আর ঐ দেখ, প্রতিমার চারিধারে সোলার পাণীগুল আছে, উহার ডানা ঝাড়িতেছে, উহারা উড়িয়া আলিয়া অস্তুরের