পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wo বঙ্কিম-প্রসঙ্গ উত্তরে বঙ্কিমচন্দ্র বলেন, “পুরাতন মন্দিরগুলিকে নাড়াচাড়া করা উচিত নয় কি ?” লেখক জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” বঙ্কিমচন্দ্র উত্তর করিলেন, “নাড়াচাড়া করিতে করিতে ঐ মন্দিরগুলি ভাঙ্গিয়া পড়িবে, উহার স্থানে নূতন মন্দির উঠবে।” তাহাতে লেখক কি বলিলেন, তাহ ঠিক মনে নাই। তবে উহার মৰ্ম্ম এই যে, “উহা বড় কঠিন ।” বঙ্কিমচন্দ্র উত্তর দিলেন, “দেখা যাউক ৷” বঙ্কিমচন্দ্র এক “উত্তরচরিতে"র সমালোচনায় পুরাতন দলের প্রধানকে বিদ্রুপ করিয়াছিলেন, তাহাতে আবার পুরাতন ভাঙ্গিয় নূতন গড়িবেন বলিয়া গৰ্ব্ব করিয়াছিলেন, এই দুই কারণে পুরাতন দলে হুলস্থুল পড়িয় গিয়াছিল। পূৰ্ব্বে হইতেই উহার বঙ্কিমচন্দ্রের লেখার বিরোধী ছিলেন। যখন “চুর্গেশনন্দিনা” প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন হইতেই তাহারা বিরোধী। “সোমপ্রকাশ” কাগজে দুর্গেশনন্দিনীর সমালোচনা করিতে গিয়া তাহারা বঙ্কিমের ব্যাকরণ-দোষ, ভাষা, উপন্যাসখানি ইংরাজী গল্পের অনুকরণ, এই কয় দোষ ধরিয়া বিদ্রুপ করিয়াছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্রের ব্যাকরণশিক্ষা ভালরূপই হইয়াছিল। ভাটপাড়ার বিখ্যাত বৈয়াকরণ 9ত্রীরাম দ্যায়বাগীশের নিকট তিনি ব্যাকরণ শিক্ষা করিয়াছিলেন। তবে কেন যে লিথিতে বসিলে সকল সময়ে ব্যাকরণ গ্রাহ করিতেন না, তাহ বোধ হয় আধুনিক লেখকদিগকে বুঝাইয়৷ বলিতে হইবে না। যাহা হউক, বঙ্কিমচন্দ্রের প্রধান সুহৃদ দীনবন্ধু সোম-প্রকাশের সমালোচনার উত্তর দিয়া কিছু দিনের জন্ত