পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু - به وه খানি আমি পড়িয়াছি; অনেকেই পড়িয়াছে; কিন্তু বঙ্কিমচন্দ্র উত্তরে কি লিখিয়াছিলেন, তাহা তখন আমরা জানিতে পারি নাই। পরে সঞ্জীব বাবুর নিকট শুনিয়াছি, বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়াছিলেন,—“তোমার মুখের মতন।” হাস্তরসে ও বাকৃপটুতায় দীনবন্ধু অপরাজেয় ছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র, হেমচন্দ্র, এইরূপ অনেকেই তাহার নিকট পরাস্ত হইতেন। কেবল এক ব্যক্তি মধ্যে মধ্যে র্তাহাকে পরাভূত করিতেন। তিনি অতি সামান্ত ব্যক্তি, অশিক্ষিত, কিন্তু অসাধারণ বুদ্ধিবান, ব্রাহ্মণ, কুলীনের সন্তান, স্বাধীন, অর্থাৎ জমজম চাষবাস ইত্যাদিতে স্বচ্ছন্দে তাহার জীবিকানিৰ্ব্বাছ হইত। ইনি ভাড়ামীতে অদ্বিতীয় ছিলেন। সেকালের বিখ্যাত ভাড় শান্তিপুরের গুরুচরণ বাড়ুযে ওরফে গুরোদুম্বে মধ্যে মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের বাটতে আসিতেন, কিন্তু এই ব্যক্তিকে পরাস্ত করিতে পারিতেন না। ইহার নাম—মধুসূদন বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনি নাচ দেখিয়া নাচিতে, গান শুনিয়া গায়িতে শিথিয়াছিলেন, কিন্তু কখনও কোনও ওস্তাদের নিকট শিক্ষা পান ನಳ್ಳಿ ইনি সৰ্ব্বদা বঙ্কিমচন্দ্র ও র্তাহার ভ্রাতাদিগের বৈঠকখানায় থাকিতেন। একদিন কাঠালপাড়ার বাটতে দীনবন্ধু, বঙ্কিমচন্দ্র ও অনেকগুলি ভদ্রলোক বসিয়া আছেন, এমন সময়ে ভাটপাড়ার এক ভট্টাচাৰ্য মহাশয় (পণ্ডিত মহাশয় নহেন) উপস্থিত হইলেন। শিষ্যগৃহে গমন উপলক্ষে ইহার সর্বদা কৃষ্ণনগরে যাতায়াত ছিল । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কথায় কথায় দীনবন্ধুর পত্নীর মুখ্যাতির কথা কহিতে লাগিলেন। সকলেই আনন্দ্রসহকারে উহা গুনিতেছিলেন,