পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিম-প্রসঙ্গ ما مN আবার পত্ৰখানি পড়িতে লাগিলেন, আবার হাসিলেন। এইরূপ বারংবার পড়িয়া পত্ৰখানি বাক্সের ভিতর রাখিলেন। আমি তখন ‘দেখি দেখি বলিয়া উহা তাহার হাত হইতে লইবার চেষ্ট করিলাম-আমি তখন বালক, আমাকে ধমক দিয়া দাদা বাক্স বন্ধ করিলেল। বঙ্কিমচন্দ্রের স্বভাবই এইরূপ ছিল যে, যদি কখনও কাহারও উপর বিরক্ত হইয়া ধমক দিতেন, তাহার পরক্ষণেই আবার সেই ব্যক্তিকে ভাল কথা বলিতেন । এই স্থলেও তাহার ব্যতিক্রম ঘটিল না, পরক্ষণেই নরমস্বরে আমাকে বললেন, “তুমি কি বুঝিবে ? ইহা কবিতা | দীনবন্ধু কবিতায় আমাকে গালি দিয়াছে।” আমি বলিলাম, “আপনিও গালি দিয়া লিখুন।” উত্তরে তিনি বলিলেন, “লিখিব বই কি ” আমি তখন দীনবন্ধুর নাম শুনিয়াছিলাম। “প্রভাকর” ও “সাধু রঞ্জন” সংবাদপত্রে কবিতার নীচে দীনবন্ধুর নামও দেখিতাম । দীনবন্ধুর বাল্যকালের পত্রগুলি বঙ্কিমচন্দ্রের বাক্সের ভিতর থাকিত। সেগুলি কি হইল, তাহা আমি জানিতে পারি নাই। ঐ পত্রগুলি যে এক্ষণে সাহিত্য-সমাজের বিশেষ আদরের হইত, তাহা:ে কোনও সন্দেহ নাই। ঐৰূপ পত্রের দ্বারা বিদ্রুপ করার অভ্যাস র্তাহাদের চিরদিনই ছিল। দীনবন্ধু কোনও এক বিশেষ সরকারী কাৰ্য্যোপলক্ষে কাছাড়ে প্রেরিত হইয়াছিলেন। সে স্থলের এক যোড়া জুতা, যাহা এখানে তখন পাওয়া যাইত না, বাট ফিরিয়া আসিয়া, বঙ্কিমচন্দ্রকে পাঠাইয়াছিলেন, এবং তাহার সহিত একখানি তিন-কথার পত্র লিখিয়াছিলেন, যথা—“বঙ্কিম, কেমন জুতো !” পত্র