পাতা:বঙ্কিম-প্রসঙ্গ.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্কিমচন্দ্র ও দীনবন্ধু ৬৯ দীনবন্ধু তখন ঐ ডিভিসনের পোষ্ট অফিস সুপারিনটেণ্ডেণ্ট ছিলেন। এই দুই অসাধারণ প্রতিভাশালী ব্যক্তির মিলনে বঙ্গসাহিত্যের কি শুভ ফল ফলিল, তাহা বিস্তারিত করিয়া লেখা আমার ন্যায় ক্ষুদ্র ব্যক্তির ক্ষমতাতীত। এই মিলনের পর হইতে দুই জনে প্রবীণ লেখকের দ্যায় কলম ধরিলেন। এক জন বঙ্গের প্রধান নাটককার " হইলেন, দ্বিতীয় প্রধান ঔপন্যাসিক হইলেন। প্রথম ব্যক্তি “নীলদর্পণ” রচনা করিলেন, দ্বিতীয় ব্যক্তি “দুর্গেশনন্দিনী” প্রণয়ন করিলেন। দীনবন্ধুর “নীলদর্পণ” যে সাহিত্য-সমাজে কিরূপ সমাদৃত হইয়াছিল, তাহা সকলেই জানেন। লং সাহেব, কারারুদ্ধ হইলেন, এক জন বড় সিভিলিয়ান অপদস্থ হইলেন, এবং অনুবাদক মাইকেল মধুসূদন দত্ত সুপ্রীমকোর্ট হইতে লাঞ্ছিত হইলেন। বঙ্কিমচন্দ্র বলিয়া গিয়াছেন, দীনবন্ধুর প্রথম নাটকখানি সৰ্ব্বাংশে শক্তিশালী, এবং কাব্যাংশে উৎকৃষ্ট। এই নাটকখানি ইউরোপে অনেক ভাষায় অনূদিত এবং মুদূর বোম্বাই সহরে পর্যন্ত অভিনীত হইয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস সাহিত্য-জগতে ভাষার ও ভাবের যে নবযুগ প্রবর্তন করিয়াছে,তাহ বলাও নিম্প্রয়োজন। "র্গেশনন্দিনী’র আবির্ভাবে প্রথমত: কলিকাতার সংস্কৃতওয়ালারা খঙ্গহস্ত হইয়া ছিলেন। ইংরেজিওয়ালার অবত দু'হাত তুলিয়াবাহবাদিয়াছিলেন। উদাহরণস্বরূপ একটি সামান্ত ঘটনা এ স্থলে প্রকটত করিলাম। বঙ্কিমচন্দ্র তাহার কোনও পুস্তক প্রকাশিত হইবার পূৰ্ব্বে কাহাকেও পড়িয়া শুনাইতেন না, অথবা সহোদর ভিন্ন কাহাকেও সে পাণ্ডুলিপি স্পর্শ করিতে দিতেন, না। কিন্তু “দুর্গেশনন্দিনী’ প্রকাশিত হইবার