পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ଅଞ୍ଜୁ ଆୱ୯ } দিত, এখন আবার তার আফিঙ্গের বরাদ্দ কেন ? বাঁশী ফাটিয়াছে-আবার সা, ঋ, গ, মা কেন ? প্রাণ গিয়াছে, ভাই, আর নিশ্বাস কেন ? সখি গিয়াছে, ভাই, আর কান্না কেন ? তব কাঁদি। জন্মিবা মাত্র কাঁদিয়াছিলাম, কাঁদিয়া মরিব । এখন কাঁদিব, লিখিব না। অনাগত, সবগত এবং বিগত শ্ৰীকমলাকান্ত চক্রবত্তীর্ণ কমলাকান্তের জোবানবন্দী খোশনবীস জানিয়র প্রণীত সেই আফিঙ্গাখোর কমলাকান্তের অনেক দিন কোন সম্পবাদ পাই নাই। অনেক সন্ধান করিয়াছিলাম, অকস্মাৎ সম্প্রতি একদিন তাহাকে ফৌজদারী আদালতে দেখিলাম। দেখি যে, ব্ৰাহ্মণ এক গাছতলায় বসিয়া, গাছের গাড়ি ঠেসান দিয়া, চক্ষ বজিয়া ডাবায় তামাকু টানিতেছে। মনে করিলাম, আর কিছ না, ব্ৰাহ্মণ লোভে পড়িয়া কাহার ডিবিয়া হইতে আফিঙ্গ চুরি করিয়াছে -অন্য সামগ্ৰী কমলাকান্ত চুরি করিবে না-ইহা নিশ্চিত জানি। নিকটে একজন কালোকোত্ত কনভেন্টবলও দেখলাম। BBBD DDDBBD DDSDD DDD D BBDBBBD DDD DBBB বলে। তফাতে থাকিয়া দেখিতে লাগিলাম যে, কান্ডটা কি হয়। কিছুকাল পরে কমলাকান্তের ডাক হইল। তখন একজন কনভেন্টবল রেল ঘরাইয়া তাহাকে সঙ্গে করিয়া এজলাসে লইয়া গেল। আমি পিছৰ পিছ গেলাম। দাঁড়াইয়া, দই একটি কথা শনিয়া ব্যাপারখানা বঝিতে পারিলাম। এজলাসে, প্রথামত মাচানের উপর হাকিম বিরাজ করিতেছেন। হাকিমটি একজন দেশী ধৰ্ম্মমােবতার-পদে ও গৌরবে ডিপটি। কমলাকান্ত আসামী নহে-সাক্ষী। মোকদ্দমা গরচুরি। ফরিয়াদী সেই প্ৰসন্ন গোয়ালিনী । কমলাকান্তকে সাক্ষীর কাটারায় পরিয়া দিল। তখন কমলাকান্ত মদ মদ হাসিতে লাগিল। চাপরাশী ধমকাইল—“হাস কেন ?” কমলাকান্ত যোড়হাত কারিয়া বলিল, “বাবা, কার ক্ষেতে ধান খেয়েছি যে, আমাকে এর ভিতর পরিলে ?” চাপরাশী মহাশয় কথাটা বঝিলেন না। দাড়ি ঘরাইয়া বলিলেন, “তামাসার জায়গা এ নয় -হলফ পড়ে।” কমলাকান্ত বলিল, “পড়াও না বাপ।” একজন মহরি তখন হলফ পড়াইতে আরম্ভ করিল। বলিল, “বল, আমি পরমেশ্বরকে কমলাকান্ত । (সবিস্ময়ে) কি বলিব ? মহরি। শনতে পাও না-“পরমেশ্বরকে প্রত্যক্ষ জেনে—“ কমলা। পরমেশ্বরকে প্রত্যক্ষ জেনে ! কি সব্বনাশ! হাকিম দেখিলেন, সাক্ষীটা কি একটা গণন্ডগোল বাধাইতেছে। জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘जबद7ाभ कि ?' কমলা। পরমেশ্বরকে প্রত্যক্ষ জেনেছি-এ কথাটা বলতে হবে ? হাকিম। ক্ষতি কি ? হলফের ফারমই এই। কমলা। হজের সবিচারক বটে। কিন্তু একটা কথা বলি কি, সাক্ষ্য দিতে দিতে দই একটা ছোট রকম মিথ্যা বলি, না হয় বলিলাম-কিন্তু গোড়াতেই একটা বড় মিথ্যা বলিয়া আরম্ভ করিব, ग्नळे कि ऊाळ ? হাকিম। এর আর মিথ্যা কথা কি ? কমলাকান্ত মনে মনে বলিল, “তত বদ্ধি থাকিলে তোমার কি এ পদবিদ্ধি হইত ?” প্রকাশ্যে বলিল, “ধন্মাবতার, আমার একটি একটা বোধ হইতেছে কি যে, পরমেশ্বর ঠিক প্রত্যক্ষের বিষয় NOS