পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बख्व्ब्रश्न সৰ্যগর্ভে ও সেইরাপ করিতে পারে, এবং চন্দ্রের বাৰ্ত্তনপথ ছাড়াও এক লক্ষ ষাট হাজার মাইল বেশী থাকে। সায্যের দািরতা কত মাইল, তাহা বালকেও জানে, দীরতা অনভূত করিবার নিম্নলিখিত গণনা উদ্ধত করিলাম। কিন্তু সেই দ্য अन्iा, “অসমদাদির দেশে রেলওয়ে ট্ৰেণ ঘণ্টায় ২০ মাইল যায়। যদি পথিবী হইতে সৰ্য্যে পৰ্যন্ত রেলওয়ে হইত, তবে কত কালে সৰ্য্যেলোকে যাইতে পারিতাম ? উত্তর—যদি দিন রাত্রি, ট্ৰেণ অবিরত ঘণ্টায় বিশ মাইল চলে, তবে ৫২০ বৎসর ৬ মাস ১৬ দিনে সৰ্য্যেলোকে পৌছান যায়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি ট্রেণে চড়িবে, তাহার সপ্তদশ পরিষা ঐ ট্ৰেণেই গত হইবে।* আর বহিস্পতি শনি প্রভৃতি গ্রহসকলের দরতার সহিত তুলনায় এ দািরতাও সামান্য। ববীর গণনা করিয়া বলিয়াছেন যে, রেল যদি ঘণ্টায় ৩৩ মাইল চলে, তবে সােয্যলোক হইতে কেহ রেলে যাত্রা করিলে, দিন রাত্ৰ চলিয়া বহিস্পতি গ্রহে ১৭১২ বৎসরে, শনিগ্রহে ৩১১৩ বৎসরে, উরেনসে ৬২২৬ বৎসরে, নেপ্তানে ১৬৮৫ বৎসরে পৌছিবে। আবার এ দীরতা নক্ষত্র সােয্যগণের দরতার তুলনায় কেশের পরিমাণ মাত্র। সকল নক্ষত্রের অপেক্ষা আলফা সেপ্টরাই আমাদিগের নিকটবত্তীর্ণ; তাহার দীরতা ৬১ সিগনাই নামক নক্ষত্রের পাঁচ ভাগের চারি ভাগ। এই দ্বিতীয় নক্ষত্রের দীরতা ৬৩,৬৫oooooooooo মাইল; আলোকের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৯২,olool মাইল। সেই আলোক ঐ নক্ষত্র হইতে আসিতে দশ ৰৎসরের অধিক কাল লাগে। বেগা নামক নক্ষত্রের দীরতা ১৩o,ooooooooooool মাইল; আলোক সেখান হইতে ২১ বৎসরে পথিবীতে পৌছে। ২১ বৎসর পকেবা ঐ নক্ষত্রের गाझा बिल उाश आमदा नथिडी-डेशन अलाऊन अक्ष आर्मानात अनिवान आ<iा काश् । আবার নীহারিকাগণের দরতার সঙ্গে তুলনায়, এ সকল নক্ষত্রের দািরতা সত্ৰ-পরিমিত বোধ হয়। বীণা (Lvra) নামক নক্ষত্রসমন্টির বিটা ও গামা নক্ষত্রের মধ্যবিত্তীর্ণ অঙ্গরীয়বৎ নীহারিকার দািরতা, সরু উইলিয়ম হশেলের গণনানসারে সিরিয়সের দরতার ৯৫o গণ্য। ঐ বিটা নক্ষত্রের দক্ষিণপন্থাবস্থিত গোলাকৃত নীহারিকা, ঐ মহাত্মার গণনানসারে সৌর জগৎ হইতে ১,৩oo, ooooooooooool মাইল। ত্রিকোণ নামক নক্ষত্রসমন্টিস্থিত এক নীহারিকা, সিরিয়সের দরতার ৩৪৪ গণ দরে অবস্থিত; এবং সবৈদেিকর ঢাল নামক নক্ষত্রসমন্টিতে ঘোড়ার লালের আকার যে এক নীহারিকা আছে, তাহার দীরতা উক্ত ভীষণ মানদন্ডের নয় শত গণ অর্থাৎ (ჯo,ooo,ooo,ooo,ooo,ooo SIRC&k f<tწლ. Flyrt | পাদরি ডাক্তার স্কোরেসবি বলেন যে, যদি আমাদিগের সােয্যকে এত দাির লইয়া যাওয়া যায় যে, তথা হইতে পাঁচিশ হাজার বৎসরে উহার আলোক আমাদিগের চক্ষে আসিবে, উহা তথাপি লড রসের বহৎ দরবীক্ষণে দশ্য হইতে পারে। যদি তাহা সত্য হয়, তবে যে সকল নীহারিকা হইতে সহস্ৰ সহস্র প্রচন্ড সায্যের রাশিম একত্রিত হইয়া আসিলেও, নীহারিকাকে ঐ দরবীক্ষণে ধােমরেখামাত্রবৎ দেখা যায়, না জানি যে, কত কোটি বৎসরে আলোক তথা হইতে আসিয়া আমাদিগের নয়নে লাগে। অথচ আলোক প্রতি সেকেণ্টডে। ১৯২,olool মাইল, অর্থাৎ পথিবীর পরিধির অস্টিগণ যায়। পণ্যটন সাহেব জানিয়াছেন যে, রৌদ্রের আলোক, মডারেটর দীপের অপেক্ষা ৪.৪৪ গণ তীব্র। যদি কোন সামগ্রীর দই ইঞ্চি দরে ১৬০টা মোমবাতী রাখা যায়, তবে তাহাতে যে আলো পড়ে, সে রৌদ্রের মত উডজবল হয়। গণিত হইয়াছে যে, যদি সােয্য রশিমবিশিষ্ট পদাৰ্থ না হইত, তবে তাহাকে মোমবাতীর সাত কোটি বিশ লক্ষ স্তরে আব্বত করিলে, অর্থাৎ নয়। মাইল উচ্চ করিয়া বাতীতে তাহার সব্বাঙ্গ মাড়িয়া, সকল বাতী জবালিয়া দিলে রৌদ্রের ন্যায় আলো পথিবীতে পাওয়া যাইত। কি ভয়ংকর তাপাধার! সিনসিনেটর ডাক্তার ভন স্থির করিয়াছেন যে, এক ফন্ট দরে ১৪,ooo বাতী রাখিলে যে তাপ পাওয়া যায়, রৌদ্রের সেই তাপ। আর সৰ্য্যে আমাদিগের নিকট হইতে যত দরে আছে, তত দরে থাকিলে ৩,৫oo,ooo,ooo,ooo,ooo,oloo,oloo, oo০,০০০ সংখ্যক বাতী এককালীন না পোড়াইলে রৌদ্রের ন্যায় তাপ হয় না। এ কথার অর্থ

  • আশচয্য সৌরোৎপাত দেখ।

ն (: 9