পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশা বিষ্কাশনাল রাসলীলা সম্পদ্ধে যাহা বলিয়াছ হরিবংশের এই হাল্লািষক্রীড়া উপরি লিখিত শ্লোকগালি ভিন্ন হরিবংশে ব্ৰজগোপীদের সম্বন্ধে আর কিছই নাই। সপ্তম পরিচ্ছেদ-ব্ৰজগোপী-ভাগৰত ৰঙ্গন্নাহরণ শ্ৰীমদ্ভাগবতে ব্ৰজগোপীদিগের সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের সমন্বন্ধ কেবল রাসনত্যে পৰ্যাপ্ত হয় নাই। ভাগবতকার গোপীদিগের সহিত কৃষ্ণলীলার বিশেষ বিস্তার করিয়াছেন। সময়ে সময়ে তাহা আধনিক রচির বিরাদ্ধ। কিন্তু সেই সকল বণনার বাহ্যদশ্য এখনকার রচিবিগহির্ভূত হইলেও, অভ্যন্তরে অতি পবিত্র ভক্তিতত্ত্ব নিহিত আছে। হরিবংশকারের ন্যায়। ভাগবতকার বিলাসপ্রিয়তা-দোষে দাষিত নহেন। তাঁহার অভিপ্রায় অতিশয় নিগঢ়ি এবং অতিশয় বিশদ্ধ। দশম স্কন্ধের ২১ অধ্যায়ে প্রথমতঃ গোপীদিগের পকেবােরাগ বাণিত হইয়াছে। তাহারা শ্ৰীকৃষ্ণের বেণরব শ্রবণ করিয়া মোহিত হইয়া পরস্পরের নিকট কৃষ্ণানরাগ ব্যক্ত করিতেছে। সেই পৰিবােনরোগ বৰ্ণনায় কবি অসাধারণ কবিত্ব প্রকাশ করিয়াছেন। তার পর তাহা সম্পাদটীকৃত করিবার জন্য একটি উপন্যাস রচনা করিয়াছেন। সেই উপন্যাস “বসন্ত্রহরণ” বিলিয়া প্ৰসিদ্ধ। বস্ত্রহরণের কোন কথা মহাভারতে, বিষ্ণপরিাণে বা হরিবংশে নাই, সতরাং উহা ভাগবতকারের কলপনাপ্রসত বলিয়া বিবেচনা করিতে হইবে। বত্তিান্তটা আধনিক রচিবিরদ্ধে হইলেও আমরা তাহা পরিত্যাগ করিতে পারিতেছি না, কেন না, ভাগবতব্যাখ্যাত রাসলীলাকথনে আমরা প্রবত্ত, এবং সেই রাসলীলার সঙ্গে ইহার বিশেষ সম্প্ৰবন্ধ। কৃষ্ণানরাগবিবাশা ব্ৰজগোপীগণ কৃষ্ণকে পতিভাবে পাইবার জন্য কাত্যায়নীৱিত করিল। ৱতের নিয়ম এক মাস। এই এক মাস তাহারা দলবদ্ধ হইয়া আসিয়া প্ৰত্যুষে যমনাসলিলে অবগাহন করিত। সন্ত্রীলোকদিগের জলাবগাহন বিষয়ে একটা কুৎসিত প্রথা এ কালেও ভারতবর্ষের অনেক প্রদেশে প্রচলিত আছে। সন্ত্রীলোকেরা অবগাহনকালে নদীতীরে বস্ত্ৰগলি ত্যাগ করিয়া, বিবস্ত্রা হইয়া জলমগ্না হয়। সেই প্রথানসারে এই ব্ৰজাঙ্গনাগণ কালে বসন রক্ষা করিয়া বিবস্ত্রা হইয়া অবগাহন করিত। মাসান্তে যে দিন ব্ৰত সম্পৰ্ণে হইবে, সে দিনও তাহারা ঐরাপ করিল। তাহদের কৰ্ম্মফল (উভয়ার্থে) দিবার জন্য সেই দিন শ্ৰীকৃষ্ণ সেইখানে উপস্থিত হইলেন। তিনি পরিত্যক্ত বস্ত্ৰগলি সংগ্ৰহ করিয়া তীরস্থ কদম্পবিবক্ষে আরোহণ করিলেন। গোপীগণ বড় বিপন্না হইল। তাহারা বিনাবস্ত্রে উঠিতে পারে না; এ দিকে প্ৰাতঃসমীরণে জলমধ্যে শীতে প্ৰাণ যায়। তাহারা কন্ঠ পৰ্যন্ত নিমগ্ন হইয়া, শীতে কাঁপিতে কাঁপিতে, কৃষ্ণের নিকট বস্ত্রভিক্ষা করিতে লাগিল। কৃষ্ণ সহজে বস্ত্র দেন না-গোপীদিগের “কম্পমািফলী” দিবার ইচ্ছা আছে। তার পর যাহা ঘটিল, তাহা আমরা স্ত্রীলোক বালক প্রভূতির বোধগম্য বাঙ্গালা ভাষায় কোন মতেই প্রকাশ করিতে পারি না। অতএব মল সংস্কৃতই বিনানিবাদে উদ্ধত कब्रिळाभ। ব্ৰজগোপীগণ কৃষ্ণকে বলিতে লাগিল;- মাহনায়ং ভো কৃথাস্ত্বাস্তু নন্দগোপসত্যং প্রিয়ম। জানীমোহাঙ্গ ব্ৰজশ্নাঘ্যং দেহি বাসাংসি বেপিতাঃ ॥ শ্যামসন্দর তে দাস্য করবাম তবোদিতম। দেহি বাসাংসি ধৰ্ম্মমাজ্ঞ নোচোদ্রাজ্ঞে ৱিবাম হে৷ শ্ৰীভগবানবাচ। ভবত্যো যদি মে দাস্যো ময়োক্তশা করিষ্যথ। অত্রাগতা সর্ববাসাংসি প্রতীচ্ছত শচিস্মিতাঃ। নোচেন্নাহং প্রদাস্যে কিং কুন্ধে রাজা করিষ্যাতি ৷ ততো জলাশয়াৎ সৰবা দারিকাঃ শীতবেপিতাঃ । পাণিভাং * * আচ্ছদ্য প্রোক্তেরঃ শীতকবিতাঃ (༣ 8姆岑