পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

zwńs অর্থাৎ, “ইহাতে বেদের বিপ্ৰতিষেধ হইতেছে। চতুবেদে পরং শ্ৰেয়ঃ লাভ না করিয়া শান্ডিল্য এই শাস্ত্র অধিগমন করিয়াছিলেন। এই সকল বেদনিলন্দা দশন করায় সিদ্ধ হইতেছে যে, এ সকল কলপনা অসঙ্গত।” শিষ্য। কিন্তু এই প্রাচীন ঋষি শান্ডিল্য ভক্তিবাদে কত দর অগ্রসর হইয়াছিলেন, তাহা জানিবার কিছ উপায় আছে কি ? গর। কিছ আছে। ছন্দোগ্য উপনিষদের তৃতীয় প্রপাঠকের চতুর্দশ অধ্যায হইতে একটা পড়িতেছি, শ্রবণ করা SSBBBB BBDBBBB BBBBB BBBD BBBBBBDBBBBBB BB D BBBBBD క్టెశాః প্রেত্যাভিসম্ভাবিতপদ্মনীতি যস্য স্যাদিদ্ধা ন বিচিকিৎসান্তীতি হ সমাহ শাণিডেলঃ পড়লঃ ।” অর্থাৎ, “সৰ্ব্বব্যাকমা, সব্বকাম, সব্ব গন্ধ, সব্বারস এই জগতে পরিব্যাপ্ত বাক্যবিহীন, এবং আপ্তকাম হেতু আদরের অপেক্ষা করেন না। এই আমার আত্মা হৃদয়ের মধ্যে, ইনিই ব্ৰহ্ম। এই লোক হইতে অপসত হইয়া, ইহাকেই সম্পন্ট অনভব করিয়া থাকি। যাঁহার ইহাতে শ্রদ্ধা থাকে, তাঁহার ইহাতে সংশয় থাকে না। ইহা শান্ডিল্য বলিয়াছেন।” এ কথা বড় অধিক দীর গেল না। এ সকল উপনিষদের জ্ঞানবাদীরাও বলিয়া থাকেন। “শ্রদ্ধা” কথা ভক্তিবাচক নহে বটে, তবে শ্রদ্ধা থাকিলে সংশয় থাকে না, এ সকল ভক্তির কথা বটে। কিন্তু আসল কথাটা বেদান্তসারে পাওয়া যায়। বেদান্তসারকত্তা সদানন্দাচায্য উপাসনা শব্দের ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন—“উপাসনানি সগণিৱহ্মবিষয়কমানসব্যাপাররপাণি শান্ডিল্য दाीन् ।' এখন একটা অন্যধাবন করিয়া বঝ। হিন্দধৰ্ম্মে ঈশ্বরের দ্বিবিধ কলপনা আছে-অথবা ঈশ্বরকে হিন্দরা দই রকমে বঝিয়া থাকে। ঈশ্বর নিগণ এবং ঈশ্বর সগণ। তোমাদের ইংরেজিতে যাহাকে ‘Absolute” বা ‘Unconditioned” বলে, তাহাই নিগণ। যিনি নিগণে, তাঁহার কোন উপাসনা হইতে পারে না; যিনি নিগণ, তাঁহার কোন গণানবাদ করা যাইতে 1(G, T; in inser, it is Girl "Conditions of Existence' rite - 4all rics পারে না-তাঁহাকে কি বলিয়া ডাকিব ? কি বলিয়া তাঁহার চিন্তা করিব ? অতএব কেবল সগণ ঈশ্বরেরই উপাসনা হইতে পারে। নিগণবাদে উপাসনা নাই। সগণ বা ভক্তিবাদী অৰ্থাৎ শান্ডিল্যাদিই উপাসনা করিতে পারেন। অতএব বেদান্তসারের এই কথা হইতে দাইটি বিষয় সিদ্ধ বলিয়া মনে করিতে পারি। প্রথম, সগণিবাদের প্রথম প্রবত্তক শান্ডিল্য, ও উপাসনারাও প্রথম প্ৰবৰ্ত্তক শান্ডিল্য। আর ভক্তি সগণবাদেরই অনসারিণী। শিষ্য। তবে কি উপনিষদ সমদায় নিগণবাদী ? গর। ঈশ্বরবাদীর মধ্যে কেহ প্রকৃত নিগণবাদী আছে কি না, সন্দেহ। যে প্রকৃত নিগণবাদী, তাহাকে নাস্তিক বলিলেও হয়। তবে, জ্ঞানবাদীরা মায়া নামে ঈশ্বরের একটি শক্তি কলপনা করেন। সেই মায়াই এই জগৎসন্টির কারণ। সেই মায়ার জন্যই আমরা ঈশ্বরকে জানিতে পারি না। মায়া হইতে বিমাক্ত হইতে পারিলেই ব্ৰহ্মজ্ঞান জন্মে এবং ব্রহ্মে লীন হইতে পারা যায়। অতএব ঈশ্বর তাঁহাদের কাছে কেবল জ্ঞেয়। এই জ্ঞান ঠিক “জানা” নহে! সাধন ভিন্ন সেই জ্ঞান জমিতে পারে না। শম, দম, উপর তি, তিতিক্ষা, সমাধান এবং শ্রদ্ধা, এই ছয় সাধনা। ঈশ্বর বিষয়ক শ্রবণ, মনন ও নিদিধ্যাসন ব্যতিরেকে অন্য বিষয় হইতে অন্তরিলিন্দ্ৰয়ের নিগ্রহই শম। তাহা হইতে বাহ্যোন্দুিয়ের নিগ্ৰহ দিম। তদন্তিরিক্ত বিষয় হইতে নিবৰ্ত্তিত বাহেন্দ্ৰিয়ের দমন, অথবা বিধিপৰিবাক বিহিত কম্পেমর পরিত্যাগই উপরতি । শীতোকাদি সহন, তিতিক্ষা। মনের একাগ্রতা, সমাধান। গরীবাক্যাদিতে বিশ্বাস, শ্রদ্ধা। সািবত্র এইরাপ সাধন কথিত হইয়াছে, এমত নহে। কিন্তু ধ্যান ধারণা তপস্যাদি প্রায়ই জ্ঞানবাদীর পক্ষে বিহিত। অতএব জ্ঞানবাদীরও উপাসনা আছে। উহা অনশীলন বটে। আমি তোমাকে বঝাইয়াছি যে, উপাসনাও অনশীলন। অতএব জ্ঞানবাদীর ঈদশ অঙ্গদ সুখ-rg, তুমি উপাসনা বলিতে পাের। কিন্তু সে উপাসনা ষে অসম্পর্শ, তাহাও পাবে যাহা বলিয়াছি, তাহা গমরণ করিলে বঝিতে পরিবে। যথাৰ্থ উপাসনা ভক্তি-প্ৰসত। ভক্তিতত্ত্বের ব্যাখ্যায় গীতোক্ত ভক্তিতত্ত্ব তোমাকে ধৰাইতে হইবে। সেই সময়ে এ কথা আর একটি পদষ্ট হইবে। 可 &一80 出发妙