পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बभ्क्या क्रनाक ইন্দ্ৰিয়গণকে সংযত করিতে হইবে, এবং ইলিদুয়াদির বিষয়কে মনেও স্থান দেওয়া হইবে না। তবে কি ইন্দুিয়াদির উপভোগ একেবারে নিষিদ্ধ ? যদি তাহা হয়, তবে এই গীতোক্ত ধৰ্ম্ম a screticism* না ত কি ? তাহা হইলে জনসমাজকে সন্ন্যাসীর মঠে পরিণত করিতে হয়। তাহা নহে, ইন্দুিয়ের উপভোগ নিষিদ্ধ নহে, তাহার বিশেষ বিধি পরশ্লোকে দেওয়া রাগদ্বেষবিমক্তৈস্তু বিষয়ানােন্দ্ৰয়ৈশ্চরন। আত্মবশ্যৈবিধেয়াত্মা প্ৰসাদমধিগচ্ছতি ॥ ৬৪ ৷৷ যিনি বিধেয়াত্মা, তিনি অন্যরাগ ও বিদ্বেষ হইতে বিমাক্ত এবং আপনার বশ্য ইন্দ্ৰিয়গণের দ্বারা বিষয়ের উপভোগ করিয়া প্ৰসাদ লাভ করেন। ৬৪ । বিধেয়াত্মা-যাঁহার আত্মা বা অন্তঃকরণ বশবত্তীৰ্ণ । ঈদশ ব্যক্তির ইন্দ্ৰিয়সকল নিজের আজ্ঞাধীন—বলের দ্বারা তাঁহার চিত্ত হরণ করিতে পারে। না। তাঁহার ইন্দ্ৰিয়সকল ভোগ্য বিষয়ের প্রতি অন্যরাগ ও বিদ্বেষ হইতে বিমক্ত-ইন্দ্ৰিয়সকল তাঁহার বশ, তিনি ইন্দ্ৰিয়ের বশ নহেন। ঈদশ ব্যক্তি ইন্দ্ৰিয়াদি বিষয়ের উপভোগ করিয়া প্ৰসাদ বা শান্তি লাভ করেন। অর্থাৎ তাঁহার কৃত উপভোগ দঃখের কারণ নহে, সখের কারণ। তাই বলিতেছিলাম যে, গীতোক্ত এই ধৰ্ম্মম Ascetic Philosophv নহে-প্রকৃত পণ্যময় ও সখময় ধৰ্ম্মম। বিষয়ের উপভোগ ইহাতে নিষিদ্ধ হইতেছে না, তবে ইহার পরিমাণ ও উপযক্ত বিধি কথিত হইয়াছে। একটা কথা বঝাইতে বাকি আছে। বিধেয়াত্মা পরিষের ইন্দ্ৰিয়সকলকে - রাগদ্বেষ বিমাক্ত" -অন রোগ ও বিদ্বেষশান্য বলা হইয়াছে। বিধেয়াত্মা পরিষের ইন্দ্ৰিয় ভোগ্য বিষয়ে অন্যরাগশান্য কেন হইবে, তাহা বঝান নিম্প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্বেষশান্য বলিবার কারণ কি ? ভোগবিষয়ে অন্যরাগই ইন্দ্ৰিয়ের স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম, বিদ্বেষ অস্বাভাবিক, কখন দেখান যায় না। যাহার সম্ভাবনা নাই, তাহার নিষেধের কারণ কি ? আর যদি উপভোগ্য বিষয়ে ইন্দ্ৰিয়ের বিদ্বেষ ঘটে, সে ত ভালই—তাহা হইলে আর ইন্দ্ৰিয়সখে প্রবত্তি থাকিবে না। তবে এ নিষেধ কেন ? উপভোগ্যে যে বিদ্বেষ ঘটে না, এমন নহে। রোগীর আহারে অরচি এবং অলসের ব্যায়ামস,খে অরচি, উদাহরণ-স্বরপ নিদিষ্ট করা যাইতে পারে। এ সকল শারীরিক সবাস্থ্যের লক্ষণ নহে, মানসিক সবাস্থ্যেরও লক্ষণ নহে। অনেককে দেখিতে পাই, কিছতেই পাড়ওয়ালা ধতি পরিবেন না, চটি জাতা নাহিলে পায়ে দিবেন না। ইহাদিগের চিত্ত আজিও বিকারশান্য হয় নাই, যে ফিন ফিনে কালাপেড়ে ধতি নাহিলে পরিবে না, তাহাদিগের চিত্ত যেমন এখনও বিকৃত, ইহাদিগের তেমনি। যখন সকলই সমান জ্ঞান হইবে, তখন ইহারা আর এরপ আপত্তি করিবে না। এই সকল ক্ষদ্র উদাহরণে কথাটা যত ক্ষদ বোধ হইতেছে, বিষ্ণুতঃ কথাটা ততটা ছোট কথা নহে। একটা বড়। উদাহরণ দ্বারা উহার গৌরব প্ৰতিপন্ন করিতেছি। রোমান ক্যাথলিক ধৰ্ম্মেপদেস্টাদিগের ইন্দুিয়াবিশেষের তৃপ্তির প্রতি বিদ্বেষ-কাৰ্যতঃ না হউক, বিধিতঃ বটে। এই জন্য তাঁহাদের মধ্যে চিরকৌমার বিহিত ছিল। ইহার ফলে কিরােপ বিশঙখলা ঘাঁটিয়াছিল, তাহা ইতিহাসপাঠক মাত্রেই জানেন। কিন্তু আৰ্য্য ঋষিরা যথার্থ স্থিতপ্রজ্ঞ-কোন ইন্দ্রিয়ের প্রতি তাঁহাদের অন্যরাগও নাই, বিদ্বেষও নাই। অতএব তাঁহারা ব্ৰহ্মচৰ্য্য সমাপন করিয়া, যথাকালে দারপরিগ্রহ করিতেন। কিন্তু তাঁহারা যেমন বিদ্বেষশন্য, ইন্দ্রিয়ের প্রতি তেমনি অন্যরাগশন্য, অতএব কেবল ধৰ্ম্মতঃ সন্তানোৎপাদন জন্যই বিবাহ করিতেন, এবং সেই জন্যই সর্বভাব-নিদিলেট সাময়িক নিয়মের অতিরিক্ত কখন ইন্দ্ৰিয় চরিতাৰ্থ করিতেন না। Asceticism দরে থাকুক, যাহাকে Puritanism বলে, এই গীতোক্ত ধৰ্ম্ম তাহারও विद्धाथी । Puritanism এই “বিদ্বেষ”-বদ্ধিজাত। গীতোক্ত ধশ্চেম কোনরাপ ভন্ডামি চলিবার পথ নাই।

  • আমরা যাহাকে বৈরাগ্য বা সন্ন্যাস বলি, Asceticism তাহা হইতে একটি স্বতন্ত্র জিনিষ। এই জন্য ইংরেজি কথাটাই আমি উপরে ব্যবহার কায়িয়ছি।

'Makes the heart glad,”-পকোবান্ধত কাস্তের উক্তি দেখ। 688