श्रेश्वब्राbन्छ १८श्वब्र कीबङानरशश्-सृबिका শাকান্নমাত্র যে ভোজন না করে, তাহাকেই বিলাসী মধ্যে গণনা করিতে হইবে, ইহাও আমি স্বীকার করি না। গীতায় ভগবদ্যক্তি এই-- আয়ঃসত্ত্ববলারোগ্য সখিপ্ৰীতিবিবদ্ধ নাঃ। স্নিগ্ধারস্যাস্থিরাহদ্যাঃ আহারাঃ সাত্ত্বিকপ্রিয়াঃ । স্থল কথা এই যাহা আগে বলিয়াছি-ঈশ্বর গণ্ড মেকির বড় শত্র। মেকি মানষের শত্র, এবং মেকি ধর্মের শত্র। লোভী পরদ্বেষী অথচ হাবিষ্যাশী ভডের ধৰ্ম্মম তিনি গ্রহণ করেন নাই। ভডের ধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্ম বলিয়া তিনি জানিতেন না। তিনি জানিতেন ধৰ্ম্ম ঈশ্ববান বাগে, আহার ত্যাগে নহে। যে ধৰ্ম্মে ঈশ্বরান রাগ ছাড়িয়া পানাহারাত্যাগকে ধমের স্থানে খাড়া করিতে চাহিত-তিনি তাহার শত্র। সেই ধমের প্রতি বিদ্বেষবশতঃ পটার স্তোত্র, আনাবাসের গণগানে, এবং তপসের মহিমা বৰ্ণনায় কবির এত সখি হইত। মানষটা বঝিলাম, নিজে ধাৰ্ম্মিক, ধৰ্ম্মেম খাঁটি, মেকির উপর খড়গহস্ত। ধামিকের কবিতায় অশ্লীলতাষ কেন দেখি, বোধ হয় তাহা বঝিয়াছি। বিলাসিতা কেন দেখি, বোধ হয তাহা এখন বঝিলাম। ঈশ্বর গপ্তের কবিতার কথা বলিতে বলিতে তাঁহার ব্যঙ্গের কথায় বঙ্গের কথা হইতে তাঁহার অশ্লীলতার কথায়, অশ্লীলতার কথা হইতে তাঁহাব বিলাসিতার কথাষ আসিযা পড়িসাছিলাম। এখন ফিরিয়া যাইতে হইতেছে। অশ্লীলতা যেমন তাঁহার কবিতার এক প্রধান দোষ, শব্দীড়ািবয়প্ৰিযতা তেমনি আবী এক প্রধান দোষ। শব্দচ্ছটায়, অন্যপ্রাস যমকের ঘটায়। তাঁহার ভাবাথ অনেক সময়ে একেবাবে ঘাঁচিযা মছিযা যায়। অন্যপ্রাস যমকের অন্যুরোধে অর্থের ভিতর কি ছাই ভস্ম থাকিয়া যায়, কবি তাহার প্রতি কিছমাত্র অন্যধাবন করিতেছেন না-দেখিয়া অনেক সময়ে বাগ হয়, দঃখ হয, হাসি পাম, দয়া হয়, পড়িতে আর প্রবত্তি হয় না। যে কারণে তাঁহােব অশ্লীলতা, সেই কাবণে এই যমকানপ্ৰাসে অন্যরাগ দেশ কাল পাত্র। সংস্কৃত সাহিত্যের অবনতিব সময় হইতে যমকান প্রাসেব বড় বাড়াবাড়ি। ঈশ্বর গপ্তের পর্ক্সেবাই-কবিওয়ালাব কবিতায়, পাঁচালিওয়ালার পাঁচালিতে, ইহার বেশী বাড়াবাড়ি। দাশরথি রায অন্যপ্রাস যমকে বড় পট,--তাই তাঁর পাঁচালি লোকের এত প্রিয় ছিল। দাশরথি রায়ের কবিত্ব না ছিল, এমন নহে, কিন্তু অন্যপ্রাস যমকের দৌরাত্ম্যে তাহা প্রায় একেবারে ঢাকা পড়িয়া গিয়াছে; পাঁচালিওয়ালা ছাড়িসা তিনি কবির শ্রেণীতে উঠিতে পান। নাই। এই অলঙ্কার প্রযোগে পটতায় ঈশ্বর গপ্তের স্থান তার পরে- এত অন্যপ্রাস যমক আর কোন বাঙ্গালীতে ব্যবহার করে না। এখানেও মাজিত রচির অভাব জন্য বড় দঃখ হয়। অন্যপ্রাস যমক যে সব্বত্রই দােষ্য এমন কথা আমি বলি না। ইংরেজিতে ইহা বড় কদৰ্য্য শনায় বটে, কিন্তু সংস্কৃতে ইহার উপযক্ত ব্যবহার অনেক সময়েই বড় মধর। কিছরই বাহাল্য ভাল নহে—অনপ্রিাস যমকের বাহাল্য বড় কািন্টকর। রাখিয়া ঢাকিয়া, পরিমিত ভাবে ব্যবহার করিতে পারিলে বড় মিঠে। বাঙ্গালাতেও তাই। মধ্যসািদন দত্ত মধ্যে মধ্যে অন্যপ্রাসের ব্যবহার করেন-বড় বঝিয়া সঝিয়া, রাখিযা ঢাকিয়া, ব্যবহার করেন। —মধর হয। শ্ৰীমান্য অক্ষয়চন্দ্র সরকার গদ্যে কখন কখন, দই এক বাদ অন্যপ্রাস ছাড়িয়া দেন-রস উছলিযা উঠে। ঈশ্বর গপ্তেরও এক একটি অন্যপ্রাস বড় মিঠে বিবিজান চলে জান লেবেজান করে। ইহার তুলনা নাই। কিন্তু ঈশ্বর গপ্তের সময় অসময় নাই, বিষযা আবিষয় নাই, সীমা সবাহদ নাই-একবার অন্যপ্রাস যমকের ফোয়ারা খলিলে আর বন্ধ হস না। আর কোন দিকে দহ্মিন্ট থাকে না, কেবল শব্দের দিকে। এরপ শব্দ ব্যবহারে তিনি অদ্বিতীয। তিনি শব্দের প্রতিযোগীশান্য অধিপতি। এই দোষ গণের উদাহরণস্বরপ দাইটি গীত বোধেন্দবিকাস হইতে উদ্ধত করিলাম। রাগিণী বেহাগ-তাল একতালা। কে রে, বামা, বারিদাবরণী, তরণী, ভালে, ধরেছে তরণি, কাহারো ঘরণী, আসিয়ে ধরণী, করিছে দিনজ জয়। げ&a
