ब७कत्र ब्रष्नाबव्ी বলিল, “বথা কি এ ছরি সংগ্ৰহ করিয়াছিলাম ? কেন এত দিন। এ ছরি আমার এ পোড়া বকে বসাই নাই ? কেন,-কেবল আশায় মজিয়া। এখন ?” এই বলিয়া শৈবলিনী ছরিকাগ্রভাগ হৃদয়ে সস্থাপিত করিল। ছরি সেই ভাবে রহিল। শৈবলিনী ভাবিতে লাগিল, “আর এক দিন ছরি এইরপে নিদ্রিত ফন্টরের বকের উপর ধরিয়াছিলাম। সে দিন তাহাকে মারি নাই, সাহস হয় নাই; আজিও আত্মহত্যায় সাহস হইতেছে না। এই ছরির ভয়ে দর্যন্ত ইংরেজও বশ হইয়াছিল—সে বঝিয়াছিল যে, সে আমার কামরায় প্রবেশ করিলে, এই ছরিতে হয় সে মরিবে, নয়। আমি মরিব । দর্যন্ত ইংরেজ ইহার ভয়ে বিশ হইয়াছিল,—আমার এ দর্যন্ত হৃদয় ইহার ভয়ে বশ্য হইল না। মরিব ? না—আজি নহে। মরি, ত সেই বেদগ্রামে গিয়া মরিব । সন্দরীকে বলিব যে, আমার জাতি নাই, কুল নাই, কিন্তু এক পাপে আমি পাপিঠা নাহি। তার পর মরিব |—— আর তিনি—যিনি আমার স্বামী—তাঁহাকে কি বলিয়া মরিব ? কথা ত মনে করিতে পারি না। মনে করিলে বোধ হয়, আমাকে শত সহস্ৰ বশিচক দংশন করে—শিরায় শিরায় 'আগান। জবলে। আমি তাঁহার যোগ্যা নাহি বলিয়া আমি তাঁহাকে ত্যাগ করিয়া আসিয়াছি। তাতে কি তাঁর কোন ক্লেশ হইয়াছে ? তিনি কি দঃখ করিয়াছেন ? না—আমি তাঁহার কেহ নাহি। পতিই তাঁহার সব। তিনি আমার জন্য দঃখ করিবেন না। একবার নিতান্ত সাধ হয়, সেই কথাটি আমাকে কেহ আসিয়া বলে—তিনি কেমন আছেন, কি করিতেছেন। তাঁহাকে আমি” কখন ভালবাসি নাই —কখন ভালবাসিতে পারিব না—তথাপি তাঁহার মনে যদি কোন ক্লেশ দিয়া থাকি, তবে আমার পাপের ভরা আরও ভারি হইল। আর একটি কথা তাঁহাকে বলিতে সাধ করে,-কিন্তু ফন্টর মরিয়া গিয়াছে, সে কথার আর সাক্ষী কে ? আমার কথায় কে বিশদ্বাস করিবে ?” শৈবলিনী শয়ন করিল। শয়ন করিয়া, সেইরােপ চিন্তাভিভূত রহিল। প্রভাতকালে তাহার নিদ্ৰা আসিল—নিদ্রায় নানাবিধ কুস্বপন দেখিল। যখন তাহার নিদ্রা ভাঙিগল, তখন বেলা হইয়াছে—মন্ত গবাক্ষপথে গহমধ্যে রৌদ্র প্রবেশ করিয়াছে। শৈবলিনী চক্ষরন্মেীলন করিল। চক্ষরন্মীলন করিয়া সম্মখে যাহা দেখিল, তাহাতে বিসিমত, ভীত, স্তম্ভিত হইল। দেখিল চন্দ্রশেখর। 8ミビ
