পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৫৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

क्रूक्ष्दकांन्ड्ज्ञ उंझेळ হরলাল বঝিল, বলিল, “তা হবে না—রোহিণি! টাকা। যাহা চাও, দিব।” রো। লক্ষ টাকা দিলেও নয়। যাহা দিবে বলিয়াছিলে, তাই চাই। হর। তা হয় না। আমি জাল করি, চুরি করি, আপনারই হকের জন্য। তুমি চুরি করিয়াছ, কার্য হকের জন্য ? রোহিণীর মািখ শকাইল। রোহিণী অধোবদনে রহিল। হরলাল বলিতে লাগিল, “আমি যাই হই—কৃষ্ণকান্ত রায়ের পত্র। যে চুরি করিয়াছে, তাহাকে কখনও গহিণী করিতে পারি **ן חים রোহিণী সহসা দাঁড়াইয়া উঠিয়া, মাথার কাপড় উচু করিয়া তুলিয়া, হরলালের মািখপানে চাহিল; বলিল, “আমি চোর! তুমি সাধা! কে আমাকে চুরি করিতে বলিয়াছিল ? কে আমাকে বড় লোভ দেখাইল ? সরলা সত্ৰীলোক দেখিয়া কে প্রবণ8না করিল ? যে শঠতার চেয়ে আর শঠতা নাই, যে মিথ্যার চেয়ে আর মিথ্যা নাই, যা ইতরে বকবরে মাখে আনিতে পারে না, তুমি কৃষ্ণকান্ত রায়ের পত্র হইয়া তাই করিলে ? হায়! হায়! আমি তোমার আযোগ্য ? তোমার মত নীচ শঠকে গ্রহণ করে, এমন হতভাগী কেহ নাই। তুমি যদি মেয়ে মানষি হইতে, তোমাকে আজি, যা দিয়া ঘর ঝাঁট দিই, তাই দেখাইতাম । তুমি পরিষ, মানে মানে দরি হও ।” হরলাল বঝিল, উশযন্ত হইয়াছে। মানে মানে বিদায় হইল—যাইবার সময় একটা টিপি টিপি হাসিয়া গেল। রোহিণীও বঝিল যে, উপযক্ত হইয়াছে—উভয় পক্ষে। সেও খোঁপােটা একটা আটিয়া নিয়া রাঁধিতে বসিল। রাগে খোঁপােটা খালিয়া গিয়াছিল। তার চোখে জল আসিতেছিল। ষািঠ পরিচ্ছেদ তুমি, বসন্তের কোকিল! প্ৰাণ ভরিয়া ডাক, তাহাতে আমার কিছমাত্র আপনি বা নাই, কিন্তু তোমার প্রতি আমার বিশেষ অননুরোধ যে, সময় বঝিয়া ডাকিবে। সময়ে অসময়ে, সকল সময়ে ডাকাডাকি ভাল নহে। দেখ, আমি বহা সন্ধানে, লেখনী মসীপাত্ৰ ইত্যাদির সাক্ষাৎ পাইয়া আরও অধিক অন্যসন্ধানের পর মনের সাক্ষাৎ পাইয়া, কৃষ্ণকান্তের উইলের কথা ফাঁদিয়া লিখিতে বসিতেছিলাম, এমন সময়ে তুমি আকাশ হইতে ডাকিলে, “কুহ! কুহ! কুহ!” তুমি সকেন্ঠ, আমি স্বীকার করি, কিন্তু সকণঠ বলিয়া কাহারও পিছৰ ডাকিবার অধিকার নাই। যাহা হউক, আমার পালিত কেশ, চালিত কলম, এ সব সন্থানে তোমার ডাকাডাকিতে বড় আসে যায় না। কিন্তু দেখ, যখন নব্য বাবা টাকার জবালায় ব্যতিব্যস্ত হইয়া জমােখরচ লইয়া মাথা কুটাকুটি করিতেছেন, তখন তুমি হয়ত আফিসের ভশন প্রাচীরের কােছ হইতে ডাকিলে, “কুহ”—বাবর আর জমােখরচ মিলিল না। যখন বিরহসন্তপিতা সন্দেরী, প্রায় সমস্ত দিনের পর অর্থাৎ বেলা নয়টার সময় দটি ভাত মাখে দিতে বসিয়াছেন, কেবল ক্ষীরের বাটিটি কোলে টানিয়া লইয়াছেন মাত্র, অমনি তুমি ডাকিলে—“কুহ”-সন্দেরীর ক্ষীরের বাটি অমনি রহিল—হয়ত, তাহাতে অন্য মনে ল্যাণ মাখিয়া খাইলেন। যাহা হউক, তোমার কুহারবে কিছ. যাদা আছে, নহিলে যখন তুমি বকুল গাছে বসিয়া ডাকিতেছিলে--আর বিধবা রোহিণী কলসীকক্ষে জল আনিতে যাইতেছিল—তখন-কিন্তু আগে জল আনিতে যাওয়ার পরিচয়টা দিই। তা, কথাটা এই। ব্ৰহ্মানন্দ ঘোষ দদুঃখী লোক—দাসী চাকরাণীর বড় ধার ধারে না। সেটা সংবিধা, কি কুবিধা, তা বলিতে পারি না-সবিধা হউক, কুবিধা হউক, যাহার চাকরাণী নাই, তাহার ঘরে ঠকামি, মিথ্যা সংবাদ, কোন্দল, এবং ময়লা, এই চারিটি বস্তু নাই। চাকরাণী নামে দেবতা। এই চারিটির সন্টিকত্তা। বিশেষ যাহার অনেকগালি চাকরাণী, তাহার বাড়ীতে নিত্য কুরক্ষেত্রের যন্ধ-নিত্য রাবণবধ। কোন চাকরাণী ভীমরাপিণী, সৰ্ব্বদাই সম্পমাত্রজনীগদা হস্তে গহরণক্ষেত্রে ফিরিতেছেন; কেহ তাহার প্রতিদ্বন্দবী রাজা দিযোধন, ভীস্ম, দ্ৰোণ, কণা তুল্য বীরগণকে ভৎসনা করিতেছেন; কেহ কুম্ভকৰ্ণর পিণী ছয় মাস করিয়া নিদ্রা যাইতেছেন ; নিদ্রান্তে সৰ্ব্বব্যািসব খাইতেছেন; কেহ সমগ্রীব, গ্রীবা হেলাইয়া কুম্ভকর্ণের বধের উদ্যোগ করিতেছেন। ইত্যাদি। ব্ৰহ্মানন্দের সে সকল আপদ বালাই ছিল না, সতরাং জল আনা, বাসন মােজাটা, রোহিণীর GSG