ब७कभ ब्रा5नाबब्ली মন্দির প্রস্তুত করিল। মন্দিরমধ্যে কোন দেব-দেবী স্থাপন করিল না। বহল অর্থব্যয় করিয়া ভ্রমরের একটি প্রতিমাত্তি সবণে গঠিত করিয়া, সেই মন্দিরমধ্যে স্থাপন করিল। সর্বণ প্রতিমার পদতলে অক্ষর খোদিত করিয়া লিখিল, “যে, সমুখে দঃখে, দোষে গণে, ভ্রমরের সমান হইবে, আমি তাহাকে এই সবণ প্রতিমা मान कद्धव।” ভ্ৰমরের মতুর বার বৎসর পরে সেই মন্দিরদীবারে এক সন্ন্যাসী আসিয়া উপস্থিত হইলেন। শচীকান্ত সেইখানেই ছিলেন। সন্ন্যাসী তাঁহাকে বলিলেন, “এই মন্দিরে কি আছে দেখিব।” শচীকান্ত দবার মোচন করিয়া সবৰ্ণময়ী ভ্রমরমাত্তি দেখাইলেন। সন্ন্যাসী বলিলেন, “এই ভ্ৰমর আমার ছিল। আমি গোবিন্দলাল রায় ।” শচীকান্ত বিস্মিত, সন্তম্পিভত হইলেন। তাঁহার বাক্যস্ফীত্তি হইল না। কিন্তু পরে বিস্ময় দর হইল, তিনি গোবিন্দলালের পদধলি গ্রহণ করিলেন। পরে তাঁহাকে গহে লইবার জন্য যত্ন করিলেন। গোবিন্দলাল অস্বীকৃত হইলেন। বলিলেন, “আজ আমার দাবাদশ বৎসর অজ্ঞােতবাস সম্পপণ্য হইল। অজ্ঞাতবাস সমাপনপািৰবাক তোমাদিগকে আশীব্বাদ করিবার জন্য এখানে আসিয়াছি। এক্ষণে তোমাকে আশীবাবাদ করা হইল। এখন ফিরিয়া যাইব ।” শচীকান্ত যন্ত করে বলিলেন, “বিষয় আপনার, আপনি উপভোগ করবেন।” গোবিন্দলাল বলিলেন, “বিষয় সম্পপত্তির অপেক্ষাও যাহা ধন, যাহা কুবেরেরও অপ্রাপ্য, তাহা আমি পাইয়াছি। এই ভ্ৰমরের অপেক্ষাও যাহা মধর, ভ্রমরের অপেক্ষাও যাহা পবিত্র, তাহা পাইয়াছি। আমি শান্তি পাইয়াছি। বিষয়ে আমার কাজ নাই, তুমিই ইহা ভোগ করিতে থােক ৷ ” শচীকান্ত বিনীতভাবে বলিলেন, “সন্ন্যাসে কি শান্তি পাওয়া যায় ?” গোবিন্দলাল উত্তর করিলেন, “কদাপি না । কেবল অজ্ঞাতবাসের জন্য আমার এ সন্ন্যাসীর পরিচ্ছদ। ভগবৎ-পাদপদ্মে মনঃসস্থাপন ভিন্ন শান্তি পাইবার আর উপায় নাই। এখন তিনিই আমার সম্পত্তি--তিনিই আমার ভ্রমর— ভ্রমরাধিক ভ্ৰমর।” ਅ বলিয়া গোবিন্দলাল চলিয়া গেলেন। আর কেহ তাঁহাকে হরিদ্রাগ্রামে দেখিতে oNT { V O W)
