वर्ग७कब ब्रष्नाबव्ी করিতেছিলেন), ধীর।ানন্দ তাঁহাকে রক্ষা করিতে করিতে বলিলেন, “কল্যাণীর সঙ্গে তোমার যে সকল কথা হইয়াছিল, তাহা তিনি সবকণে শনিয়াছিলেন।” ভব। কি প্রকারে ? ধীর। তিনি তখন সত্বয়ং সেখানে ছিলেন। সাবধান থাকিও । ( ভবানন্দ এক জন গোরা কর্তৃক আহত হইয়া তাহাকে প্রত্যাহত করিলেন।)। তিনি কল্যাণীকে গীতা পড়াইতেছিলেন, এমত সময়ে তুমি আসিলে। সাবধান! ( ভবানন্দের বাম বাহও ছিন্ন হইল।) ভব। আমার মাতৃত্যুসংবাদ তাঁহাকে দিও! বলিও, আমি অবিশবাসী নাহি। ধীর।নিন্দ বাস্পপণলোচনে যাদ্ধ করিতে করিতে বলিলেন, “তাহা তিনি জানেন। কালি রাত্রের আশীৰ্ব্ববাদবাক্য মনে কর। আর আমাকে বলিয়া দিয়াছেন, “ভবানন্দের কাছে থাকিও, আজ সে মরিবে। মাতৃত্যুকালে হাকে বলিও, আমি আশীৰ্ব্বাদ করতোছ, পরলোকে তাহার বৈকুণ্ঠপ্ৰাপিত হইবে।” ভবানন্দ বলিলেন, জয় হউক, ভাই! আমার মাতুত্যুকালে একবার ‘বন্দে মাতরম’ শনাও দেখি !" তখন ধীর নন্দের যদুদ্ধোন্মত্ত সকল সন্তান মহাতেজে “বন্দে মাতরম” গায়িল। গের বা তে দিবগণ বলসঞ্চার হইয়া উঠিল। সেই ভয়ঙ্কর মহত্তে অবশিস্ট গোরাগণ নিহত হইল। রণক্ষেত্রে আর শত্র রহিল না। সেই মহত্তে ভবানন্দ মাখে। “বন্দে মাতরম" গায়িতে গায়িতে, মনে বিষ্ণপদ ধ্যান করিতে করিতে প্ৰাণত্যাগ করিলেন। হায়! রমণীরােপলাবণ্য! ইহসংসাবে তোমাকেই ধিক । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ রণজয়ের পর, অজয় রে সত্যানন্দকে ঘিরিয়া বিজয়ী বীরবাগ নানা উৎসব করিতে লাগিল । কেবল সত্যু বিমষ, ভবানন্দের জন্য। এতক্ষণ বৈষ্ণবদিগের রণবাদ্য অধিক ছিল না, কিন্তু সেই সময় কোথা হইতে সহস্ৰ সহস্র কাড়া নাগরা, ঢাক ঢোল, কাঁসি সানাই, তরনী ভেরী, রামশিঙ্গা, দামামা আসিয়া জটিল। জয়সচক বাদ্যে কানন প্রান্তর নদীসকল শবদ ও প্রতিধবনিতে পরিপািণ হইয়া উঠিল। এইরপে সন্তানগণ অনেকক্ষণ ধরিয়া নানারপ উৎসব করিলে পর সত্যানন্দ বলিলেন, “জগদীশবর আজ কৃপা করিয়াছেন, সন্তানধৰ্ম্মেমরি জয় হইয়াছে, কিন্তু এক কাজ বাকি আছে। যাহারা আমাদিগের সঙ্গে উৎসব করিতে পাইল না, যাহারা আমাদের উৎসবের জন্য প্রাণ দিয়াছে, তাহাদিগকে ভুলিলে চলিবে না। যাহার রণক্ষেত্রে নিহত হইয়া পড়িয়া আছে, চল যাই, আমরা গিয়া তাহাদিগের সৎকার করি ; বিশেষ যে মহাত্মা আমাদিগের জন্য এই রণজয় করিয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছেন, চল —মহান উৎসব করিয়া সেই ভবানন্দের সৎকার করি।” তখন সন্তানদল। “বন্দে মাতরম” বলিতে বলিতে নিহতদিগের সৎকারে চলিল। বহ লোক একত্রিত হইয়া হরিবোল দিতে দিতে ভারে ভারে চন্দনকাষ্ঠ বহিয়া আনিয়া ভবানন্দের চিন্তা রচনা করিল, এবং তাহাতে ভবানন্দকে শায়িত করিয়া, অগিন জাপালিত করিয়া, চিতা বেড়িয়া বেড়িয়া “হরে মর্যারে” গায়িতে লাগিল। ইহারা বিষ্ণভক্ত, বৈষ্ণবসম্প্রদায়ভুক্ত নহে, অতএব দাহ করে। কানানমধ্যে তৎপরে কেবল সত্যানন্দ, জীবানন্দ, মহেন্দ্র, নবীনানন্দ ও ধীর।নিন্দ আসীন ; গোপনে পাঁচ জনে পরামর্শ করিতেছেন। সত্যানন্দ বলিলেন, “এত দিনে যে জন্য আমরা সব্বধৰ্ম্মম সব্ব সখি ত্যাগ করিয়াছিলাম, সেই ব্ৰত সফল হইয়াছে, এ প্রদেশে যবন সেনা আর নাই, যাহা অবশিস্ট আছে, এক দন্ড আমাদিগের নিকট টিকিবে না, তোমরা এখন কি পরামর্শ ९३ ?” জীবানন্দ বলিলেন, “চলন, এই সময়ে গিয়া রাজধানী অধিকার করি।” সত্য | আমারও সেই মত । ধীর।ানন্দ । সৈন্য কোথায় ? জীব। কেন, এই সৈন্য ? CAC 8
