পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब७दकब ब्रष्न्बव्ी সাহেব দেখিলেন, বরকন্দাজ সৈন্য পলাইবার উদ্যোগ করিতেছে। সাহেব তত্তজন গডজনি করিয়া বলিলেন, “কি ! তোমরা সাদা নিশানের ভাণ করিয়া পলাইতেছ?” রঙগরাজ। সাহেব, ধরিলে কবে যে পলাইলাম ? এখনও কেহ পলায় নাই। পাের, ধর। সাদ{ নিশান ফেলিয়া দিতেছি। এই বলিয়া রঙগরাজ্য সাদা নিশান ফেলিয়া দিল। কিন্তু সিপাহীরা সাহেবের আজ্ঞা না পাইয়া নিশেচন্ট হইয়া রহিল। সাহেব ভাবিতেছিলেন, “উহাদের পশ্চাদ্ধাবিত হওয়া ব্যথা। পিছ ছটিতে ছটিতে উহাবা নিবিড় জঙগলের ভিতর প্রবেশ করিবে। একে রাত্রিকাল, তাহাতে মেঘাড়ম্ববর, জঙগলে ঘোর অন্ধকার সন্দেহ নাই। আমার সিপাহীরা পথ চেনে না, বরকন্দাজেরা পথ চেনে। সতরাং তাহাদের ধরা সিপাহীর সাধ্য নহে।” কাজেই সাহেব সে অভিপ্ৰায় পরিত্যাগ করিলেন । বলিলেন, “যােক উহাদের চাই না। যে কথা হইতেছিল, তাই হৌক, তোমরা সকলে ধরা দিবে। ” রঙগ। একজনও না। কেবল রাণী । সাহেব। পৰীষ! এখন আর লড়াই করবে কে ? এই যে কয় জন, তাহারা কি আর পাঁচ শ, সিপাহীর সঙ্গে লড়াই করিতে পারিবে ? তোমার বরকন্দাজ সেনা ত জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করিল, দেখিতেছি। রঙগরাজ দেখিল, বাস্তবিক ভবানী ঠাকুরের সেনা জঙ্গলের ভিতর প্রবেশ করিল। রঙ্গরাজ বলিল, “আমি অত জানি না। আমায় আমাদের প্রভু যা বলিয়াছেন, তাহাই বলিতেছি । বজরা পাইবেন না, বজরার যে ধন তাহা পাইবেন না, আমাদের কাহাকেও পাইবেন। না। কেবল রাণীকে পাইবেন । স[ | কেন ? রওগ । তা জানি না। সা। জােন আর নাই জােন, বজরা এখন আমার, আমি উহা দখল করিব | রঙ্গ। সাহেব বজরাতে উঠিও না, বজরা ছাইও না, বিপদ ঘটিবে। সা। পঃ! পাঁচ শ, সিপাহসী লইযা তোমাদের জন দাই চারি লোকের কাছে বিপদ!! এই বলিয়া সাহেব সাদা নিশান ফেলিয়া দিলেন। সিপাহীদের হাকুম দিলেন, “বজবা ঘেরাও কর । ’ সিপাহীরা পাঁচখানা ছিপ সমেত বজরা ঘেরিয়া ফেলিল। তখন সাহেব বলিলেন, ‘ বজরার উপর উঠিয়া বীরকন্দােজদিগের অস্ত্র কড়িয়া লও।” এ হকুম সাহেব উচ্চৈঃস্বরে দিলেন। কথা দেবীর কাণে গেল। দেবীও বজরার ভিতর হইতে উচ্চৈঃস্বরে হকুম দিলেন, “বজরায় যাহার যাহার হাতে হাতিয়ার আছে, সব জলে ফেলিয়া ローTG l' শনিবা মাত্র, বজরায় যাহার। যাহার হাতে অস্ত্র ছিল, সব জলে ফেলিয়া দিল। রওগরাজ ও আপনার অস্ত্র সকল জলে ফেলিয়া দিল। দেখিয়া সাহেব সন্তুষ্ট হইলেন, বলিলেন, “চল, এখন বজরায় গিয়া দেখি, কি আছে।” রঙ্গ। সাহেব, আপনি জোর করিয়া বজরায় যাইতেছেন, আমার দোষ নাই। সা। তোমার আবার দোষ কি ? এই বলিয়া সাহেব একজন মাত্র সিপাহী সঙ্গে লইয়া সশস্ত্রে বজরায় উঠিলেন। এটা বিশেষ সাহসের কাজ নহে; কেন না, বজরার উপর যে কয়জন লোক ছিল, তাহারা সকলেই অস্ত্র ত্যাগ করিয়াছে। সাহেব বঝেন নাই যে, দেবীর স্থিরবদ্ধিই শাণিত মহাস্ত্র : তার অন্য অস্ত্ৰেব প্রয়োজন নাই। সাহেব রঙগরাজের সঙ্গে কামরার দরজায় আসিলেন। দবার তৎক্ষণাৎ মক্ত হইল। উভয়ে ভিতরে প্রবেশ করিলেন। প্রবেশ করিয়া যাহা দেখিলেন, তাহাতে দাই জনেই বিস্মিত হইলেন। দেখিলেন, যে দিন প্রথমে ব্রজেশবের বন্দী হইয়া এই ঘরে প্রবেশ করিয়াছিলেন, সে দিন যেমন ইহার মনোহর সন্তজা, আজিও সেইরাপ; দেয়ালে তেমনি চার চিত্ৰ। তেমনি সন্দর গালিচা পাতা। তেমনি আতরদান, গোলাবপাশ, তেমনি সোণার পৎপপাত্রে ফলে ভরা, সোণার আলবোলায় তেমনি মগনাভিগন্ধি তামাকু সাজা। তেমনি রােপর পাতুল, র্যাপার ঝাড়, সোণার b"○ Wり