পাতা:বঙ্গদর্শন-অষ্টম খণ্ড.djvu/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ツや8 পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে, মাণিক্যরত্ব রক্তচ্ছবি-বিশিষ্ট । মাণিক্য মাত্রেই রক্ত বর্ণ বটে, কিন্তু তন্মধ্যে কিঞ্চিৎ প্রভেদ অাছে। রক্তবর্ণতারও প্রভেদ আছে । সেই প্রভেদ অনুসারে নাম-ভেদ ও মূল্যের তারতম্য হইয়া থাকে। উপরে যে জাতি গুণের উল্লেখ করা হইয়াছে, ঐ সকল জাভি গুণ যদি বিভিন্ন বর্ণের মাণিক্যেও সমঞ্জস্য লাভ করে, তাহা হইলেই তাহাকে মাণিক বলা যাইবেক, নচেৎ তাহা অন্য এক প্রকার প্রস্তর মাত্র । কোন কোন মতে এই রত্ন রক্তবর্ণ ব্যতীত অন্য বর্ণও হইয়া থাকে । সেই বর্ণ অনুসারে মাণিক্য চারি প্রকার জাতি ঘলিয়া গণ্য হয় । যথা— .“তদ্রব্রুং যদি পদ্মরাগ মথতৎ পীতাভি রক্তং দ্বিধা । জানীয়াৎ কুরু বিন্দকং যদরুণংম্যাদেষু সৌগন্ধিকম । ভস্ত্রীলং যদি নীল গন্ধিক-মিত্তি জ্ঞেয়ং চতুধা বুধৈঃ ” { রাজ নির্ঘন্টঃ । অর্থ এই, যে, সেই মাণিক্য যদি রক্ত বর্ণ হয় তবে তাহার “ পদ্মরাগ ’ নাম দেওয়া যায়। আর যদি তাহ পীতাভ কি অতি রক্ত হয়, তবে তাহ হই প্রকার স্থির করিৰে । যাহা অতি রক্ত, তাহা शत्राभनि । ( আষাঢ় । দোষ । রত্নবিও পণ্ডিতেরা মাণিক্য, রত্নেয় যে সকল দোষনিচয় বর্ণন করিয়া গিয়াছেন, ক্রমে তাহাও উদ্ধত করা যাইতেছে।

  • মাণিক্যস্য সমাখ্যাত অষ্ট্রে দোষা মনীশ্বরে । দ্বিচ্ছায়ঞ্চ দ্বিরুপঞ্চ সম্ভেদঃ ককরাস্তথা ।

গুণাশ্চাত্বার আখ্যাতাশস্থায়ণঃ ষোড়শ কীৰ্ত্তিতঃ ” রত্ন পরীক্ষক মুনিগণ মাণিক্যরত্নের আটট দোষ (মহৎ দোষ ) স্থির করিয়া গিয়াছেন । ছুইটী ছায়াগত দোষ, হুইটী রূপগত দোষ, সম্ভেদ দোষ এবং কর্কর দোষ । এইরূপ চারিট গুণ ও ১৬ ষোল প্রকার ছায়ার কথাও বলিয়াছেন । ছায়া কি ? এবং তাহ ১৬ বোল প্রকারই বা কেন ? ইহা পশ্চাৎ ব্যক্ত হইবেক । “ দ্বিচ্ছায় ” “ দ্বিরূপ ” “ সম্ভেদ ” ও “ কর্কর ”—এই দোসচতুষ্টর বিবৃত্ত করা যাউক । “ছায়। দ্বিতয় সম্বন্ধাৎদ্বিচ্ছায়ং বন্ধুনাশনম্।” “দ্বিরূপং দ্বিপদং তেনমাণিক্যেন পরাভবঃ ” “সম্ভেদে ভিন্ন মিত্যুক্তংশগ্রঘাত বিধায়কম্।” “কৰ্করাং কর্কর যুক্তং পশুৰণা বিনাশকৃৎ ।” [ যুক্তি কল্পতরু । বে মাণিক্যে তুই প্রকায় ছায়ায় সং “কুরুবিলাক” এবং যাহা পীতাভ, তাহ যোগ থাকে, তাহ দ্বিচ্ছায় দোষগ্রন্থ । “সৌগন্ধিক”। যদি তাছা নীলাভ হয়, দ্বিচ্ছায় মাণিক ধারণ করিলে বন্ধু বিনাশ তবে তাহ “নীলগন্ধিক" বলিয়া জানিতে হয়। যাহার উভয়দিকে পদ তাহ দ্বিরূপ হুইবেক ॥. দোষযুক্ত। (পদ কি ? তাহ স্বতন্ত্ৰ স্থানে